সেই সিরিজ হারই উইন্ডিজের এক নম্বর প্রেরণা

২০১৮ সালে বাংলাদেশে এসে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। বাংলাদেশের স্পিনে খাবি খেয়ে তিনদিনেই ম্যাচ হেরেছিল তারা। সেই তেতো অভিজ্ঞতাই নাকি এবার তাদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার নাম। উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট জানালেন, এবার সব জেনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে এসেছেন তারা।
স্পিনে দুর্বল হওয়ায় ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিকল্পনা সরল। অতি ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে ম্যাচ বের করা। চার স্পিনার নিয়ে খেলে সব শেষ সিরিজে তা করেও দেখান সাকিব আল হাসানরা।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জানালেন, সেই ক্ষতই এবার বড় ঔষধ, ‘আমরা এখানে গতবার সিরিজটা হেরেছিলাম, সেটি এক নম্বর অনুপ্রেরণা।’
দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আর তাইজুল ইসলাম। দুই অফ স্পিনার নাঈম হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ ভোগান্তির নাম ছিলেন ক্যারিবিয়ানদের কাছে। নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার না আসায় ব্র্যাথওয়েট সেবারও ছিলেন দলের অধিনায়ক। করোনা ভীতিতে এবার হোল্ডার না থাকাতেই একই দায়িত্বে তিনি। গতবার খেলে যাওয়া রোস্টন চেজ, শেমরন হেটমায়ার নেই। বাকিদের অনেকের বাংলাদেশের স্পিন খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ব্র্যাথওয়েট ফুটেজ দেখিয়ে সতীর্থদের দিচ্ছেন জ্ঞান, ‘আমি এদের বিপক্ষে খেলেছি, আমাদের দলের কয়েকজন আবার খেলেনি। ব্যাটসম্যানের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আমরা ফুটেজ দেখেছি। আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে। আগ্রাসী হতে হবে। তারা মানসম্মত বোলার তবে আমার মনে হয় বড় রান করার ক্ষমতা আমাদের আছে। আমি ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকছি। আমরা চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে সফলতা-ব্যর্থতার দুইটা চিত্র ব্র্যাথওয়েটের। নিজ দেশে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে ৯৩.৮৩ গড়ে ৫৬৩ রান তার। অথচ বাংলাদেশে খেলতে হলে অবস্থা হয়েছে উলটো। এখানে ৪ ম্যাচে ১৩.১২ গড়ে করতে পেরেছেন মাত্র ১০৫ রান। এবার সেই চিত্রও বদলাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই বাঁহাতি, ‘চিত্রটা বদলাতে আমি কাজ করছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এখানেও ভাল করতে চাই।’
কেবল তিনি নিজে না। ওপেনিং সঙ্গী জন ক্যাম্বেলকে নিয়েও আশাবাদি ব্র্যাথওয়েট, ‘ওপেনারদের জুটি পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাংলাদেশে। বড় ওপেনিং জুটি কাজটা সহজ করে দেবে। আমাদের ভাল অবস্থায় নিয়ে যাবে। জন ভাল ব্যাট করছে। তার সঙ্গে ব্যাট করা উপভোগ করছি।’
নিশ্চিতভাবেই এই সিরিজে উইন্ডিজের মূল হুমকি সাকিব। তা ভাল করেই বুঝেন ব্র্যাথওয়েট। সাকিবকে নিয়ে করা পরিকল্পনায় কোন দ্বিধা রাখতে চায় না তারা, ‘সে ভাল বল করেছে, ভাল ব্যাটও করেছে। আমরা সবাই জানি সে বিশ্বমানের। তার ফুটেজ দেখেছি। ব্যাটসম্যান হিসেবে আমাদের পরিকল্পনা আছে এবং তাতে ভরসাও আছে। নিজের পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিধা থাকা চলবে না।’
Comments