৫৬ শতাংশ দিল্লিবাসীর শরীরে অ্যান্টিবডি: সমীক্ষা

দিল্লিতে বসবাসরতদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। গত ১৫ থেকে ২৩ জানুয়ারি দিল্লির ২৮ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভারতের আহমেদাবাদের এক নারী পুলিশকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি ২০২১। ছবি: রয়টার্স

দিল্লিতে বসবাসরতদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। গত ১৫ থেকে ২৩ জানুয়ারি দিল্লির ২৮ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

পঞ্চম দফার এই সমীক্ষায় পাওয়া ফলাফল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জাইন। তিনি জানান, ভারতের রাজ্যগুলোতে এখন পর্যন্ত চালানো সমীক্ষার মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ।

দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকাসহ মিউনিসিপ্যালের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে এক শটি করে নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন উত্তর দিল্লির ৪৯ দশমিক ০৯ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সর্বোচ্চ দক্ষিণ দিল্লির ৬২ দশমিক ১৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

সত্যেন্দর জাইন বলেন, ‘দিল্লি হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগোচ্ছিল। তবে, শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারবেন। হার্ড ইমিউনিটির আলোচনায় আমাদের যাওয়া উচিত নয়। কারণ, ফলাফলের প্যারামিটারের বিভিন্ন রকমের অনুমান রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সামাজিক বিধিগুলো মেনে চলা উচিত। মোট ৫৬ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। ১১টি জেলায় চালানো এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারীদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।’

দিল্লির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. নুতন মুন্দেজা বলেন, ‘এটি একটি নতুন রোগ। তাই হার্ড ইমিউনিটির ওপর নির্ভর করে আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করা উচিত হবে না। আমাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অপেক্ষা করা উচিত।’

এর আগে গত বছরের জুলাইতে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, দিল্লির ২৩ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আগস্টে করা সমীক্ষায় ২৯ দশমিক এক শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ২৫ দশমিক এক শতাংশ ও অক্টোবরে করা সমীক্ষায় ২৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল।

ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি সাত লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ জন, মারা গেছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৭০৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ৪৫৫ জন।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত ১৯ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার ১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago