তিন উইকেট ফেলার পরও সেশনটা বাংলাদেশের বলা যাচ্ছে না
কুঁচকির চোটে সাকিব আল হাসান মাঠে নামতে পারছেন না, এমন একটা খবর দিয়ে সকালটা শুরু হয়েছিল। দলের মূল বোলারের অনুপস্থিতির অস্বস্তি অবশ্য নামার পর আর খুব বেশি থাকেনি। একদম প্রথম বলেই তাইজুল ইসলাম আনেন উইকেট। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট আর কাইল মায়ার্সের ব্যাটে দ্রুত রান আনছিল উইন্ডিজ। তাদের ফিরিয়েও দেওয়া গেছে। তবে সফরকারীরাও সমান তালে রান বাড়ানোয় ম্যাচে এখনো পরিষ্কার দাপট আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ নিয়েছে ৩ উইকেট। ৩৩ ওভারের খেলার মধ্যে উইন্ডিজ উঠিয়েছে ১১৪ রান। ৫ উইকেটে ১৮৯ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছে তারা। ফলোঅন এড়াতে তাদের করতে হবে আরও ৪২ রান।
দিনের একদম প্রথম বলেই এনক্রুমা বোনার তাইজুল ইসলামকে ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে দেন ক্যাচ। এরপর জমে ওঠে ব্র্যাথওয়েট-মায়ার্স জুটি। পাঁচে নামা অভিষিক্ত মায়ার্স খেলতে থাকেন দারুণ কিছু শট। এসময় বেশ আলগা বল করে ব্যাটসম্যানদের থিতু হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন নাঈম হাসান, তাইজুলরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজ দেশের উইকেটে বেশ সফল ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু বাংলাদেশে এলে রান পেতে ভুগতেন তিনি। সেই ইতিহাস ছাপিয়ে প্রথম থেকেই সাবলীল ছিল তার ব্যাট। অনায়াসে ফিফটি তুলে নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।
এদিকে জুটিতেও বাড়ছিল রান। কিছুটা চিন্তা ভিড় করছিল বাংলাদেশ দলে। সেঞ্চুরির আভাস দেওয়া ব্র্যাথওয়েট অনেকটা যেন ‘উদ্যোগী’ হয়ে দূর করেন বাংলাদেশের চিন্তা। নাঈমের আগে বলগুলো টার্ন দেখেই খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। অথচ অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া একটা বল টার্ন হবে না ভেবে ছেড়ে দিলেন। সেটাই গিয়ে ভেঙ্গে দিলো তার স্টাম্প।
এতে থেমে যায় ১১১ বলে তার ৭৬ রানের ইনিংস। ভেঙ্গে যায় চতুর্থ উইকেটে ৫৫ রানের জুটিও। মায়ার্স এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। বেশ স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল তাকে। বাংলাদেশের ব্যাটিং হিরো মেহেদী হাসান মিরাজ দিনে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই ফিরিয়েছেন তাকে।
তবে এজন্য নিজেকেও কিছুটা দায়ি ভাবতে পারেন মায়ার্স। মিরাজের সোজা বলে ঠেকাতে গিয়ে পরাস্ত হন। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন। তবে রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, প্যাডে লাগার আগে মায়ার্সের ব্যাট স্পর্শ করে গিয়েছিল বল। রিভিউ নিলেই তাই বেঁচে যেতে পারতেন ৪০ রানে ফিরে যাওয়া এই বাঁহাতি।
জার্মেইন ব্ল্যাকউড নেমেছিলেন ছয়ে। নেমেই কিছুটা সময় সংগ্রাম করতে দেখা যায় তাকে। একাধিক সুযোগও দিয়েছিলেন। বেঁচে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে থিতু হন। জশুয়া ডা সিলভার সঙ্গে ৩৫ রান যোগ করে ফেলেছেন। ৭০ বলে ৫ চারে ব্ল্যাকউড খেলছেন ৩৪ রানে। তার সঙ্গী সিলভার রান ১২।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩০
উইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৬২ ওভারে ১৮৯/৫ (আগের দিনের ২৯ ওভারে ৭৫/২) (ব্র্যাথওয়েট ৭৬, ক্যাম্পবেল ৩, মোসলে ২, বোনার ১৭, মায়ার্স ৪০, ব্ল্যাকউড ৩৪*, জশুয়া ১২*; মোস্তাফিজ ২/৩৬, সাকিব ০/১৬, মিরাজ ১/৩১, তাইজুল ১/৬০ , নাঈম ১/৪৫)।
Comments