ব্ল্যাকউড-জশুয়ার প্রতিরোধ ভেঙ্গে ম্যাচে দাপট বাংলাদেশের
লাঞ্চের আগে বাংলাদেশ তিন উইকেট তুললেও অনেকগুলো রান তুলে ফেলেছিল উইন্ডিজ। লাঞ্চের পর তাই খেলায় ফিরতে দরকার ছিল দ্রুত উইকেট। কিন্তু জার্মেইন ব্ল্যাকউড আর জশুয়া ডি সিলভা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাদের জুটি ভাঙ্গতে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। ভয় ধরানোর আভাস দিতে দিতেই অবশ্য একসঙ্গে নিভেছেন দুজন। ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়েই চা-বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত উইন্ডিজ ৭ উইকেটে তুলেছে ২৫৩ রান। ফলোঅন এড়ালেও বাংলাদেশ থেকে এখনো তারা পিছিয়ে আছে ১৭৭ রানে। তবে চা-বিরতির খানিক আগেও ২৫৩ রানে ৫ উইকেট ছিল তাদের। দুই থিতু ব্যাটসম্যান জশুয়াকে ও ব্ল্যাকউডকে পর পর ফেরান নাঈম হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ।
নাঈমের অনেক বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জশুয়া। ১৪১ বলে ৪২ রান করেছেন তিনি। আরেক পাশে ব্ল্যাকউড দিচ্ছিলেন সেঞ্চুরির আভাস। তিনিও দিয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। ১৪৬ বলে ৬৮ রান করে তার ফিরে যাওয়ায় বেরিয়ে এসেছে উইন্ডিজের লোয়ার অর্ডার।
অথচ পুরো সেশনটা আর একটুর জন্য হয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য চরম হতাশার। সফরকারীরা চওড়া হাসি নিয়ে যেতে পারত চা-বিরতিতে। সেটা হয়নি বলেই রক্ষা বাংলাদেশের।
দলের সঙ্গে নিশ্চয়ই স্বস্তি পাচ্ছেন বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি আর নাজমুল হোসেন শান্ত। লাঞ্চের পর পর ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে মিরাজ ও নাঈমের বলে একাধিক বার ক্যাচ উঠলেও তা নাগালে নিতে পারেননি ইয়াসির। পরে স্লিপে জশুয়ার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন শান্ত।
ফিল্ডারদের কাছ থেকে সমর্থন না পেয়ে কিছুটা যেন এলোমেলো হয়ে যান বোলাররাও। আলগা বলে সরে যায় চাপও। সেশনের একদম কয়েক মিনিটে গিয়ে এলোমেলো হওয়ার আগে টলানো যাচ্ছিল না উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩০
উইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৯৩.১ ওভারে ২৫৩/৭ (আগের দিনের ২৯ ওভারে ৭৫/২) (ব্র্যাথওয়েট ৭৬, ক্যাম্পবেল ৩, মোসলে ২, বোনার ১৭, মায়ার্স ৪০, ব্ল্যাকউড ৬৮, জশুয়া ৪২, রাহকিম ০*; মোস্তাফিজ ২/৪৬, সাকিব ০/১৬, মিরাজ ১/৫৭, তাইজুল ১/৮৪, নাঈম ২/৪৯)।
Comments