ট্রেন লাইনচ্যুত, তেল লুটের মহোৎসব

সিলেট বিভাগের তিন জেলায় গত পাঁচ মাসে চারটি তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিবারই স্থানীয়রা মেতে উঠেছেন তেল লুটের মহোৎসবে।
Sylhet.jpg
বালতি, হাড়ি-পাতিল, ড্রাম নিয়ে এসে তেল লুট করছেন স্থানীয়রা। ছবি: শেখ নাসির

সিলেট বিভাগের তিন জেলায় গত পাঁচ মাসে চারটি তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিবারই স্থানীয়রা মেতে উঠেছেন তেল লুটের মহোৎসবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার গুঁতিগাওয়ে তেলবাহী ট্রেনের ১০টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়।

ছড়িয়ে পড়া তেল থেকে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকলেও ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই বালতি, হাড়ি-পাতিল, ড্রামসহ সবধরনের তৈজসপত্র নিয়ে স্থানীয়রা ভিড় করেন রেল লাইনে।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালেও প্রায় সারাদিনই চলে তেল লুট।

Sylhet-2.jpg
লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে তেল লুট করছেন একজন। ছবি: শেখ নাসির

ওই গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বলেন, ‘সবার দেখাদেখি আমিও তেল সংগ্রহ করেছি। এগুলো এমনিতেই মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। রাতে ১২ লিটারের মতো তেল সংগ্রহ করেছি। সকালে আরও ছয় লিটার সংগ্রহ করেছি।’

গতরাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

রেলওয়ের ডিভিশনাল ম্যানেজার সাদেকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ট্রেনটির ১০টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০০ মিটার রেললাইন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

Sylhet-3.jpg
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলেছে তেল লুট। ছবি: শেখ নাসির

তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকারী দল রাত থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তবে কখন আবার রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা যাবে, তা নিশ্চিত নয়।’

এ ঘটনায় আজ সারাদিনে সিলেট রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন— জয়ন্তিকা, পাহাড়িকা, পারাবত ও কুশিয়ারা ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলস্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান।

Sylhet-4.jpg
একদিকে চলছে রেললাইন মেরামতের কাজ, অন্যদিকে তেল লুট। ছবি: শেখ নাসির

গতরাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন শ্রীমঙ্গল স্টেশনে এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপবন কুলাউড়া স্টেশনে আটকে আছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

সিলেটে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, রেলযোগাযোগ বন্ধ

উদ্ধার কাজে সারা দিন লেগে যেতে পারে, তদন্ত কমিটি গঠন

Comments

The Daily Star  | English

'No justice in either country': Rohingya refugees face looting on both sides of the border

The most recent arrivals are staying with the relatives at the camp sharing their limited daily rations provided by the UN agencies.

1h ago