হাবিবুল, মুশফিক, তামিম ও সাকিবের পর মুমিনুল
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে তিন হাজার বা এর চেয়ে বেশি রান ছিল চার ক্রিকেটারের। তারা হলেন হাবিবুল বাশার, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে তাদের সঙ্গী হলেন বাঁহাতি তারকা মুমিনুল হক।
শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। এই অর্জনের পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে এতগুলো তিন অঙ্কের ইনিংস নেই বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটারের। নয়টি সেঞ্চুরি নিয়ে তার ঠিক পেছনেই আছেন তামিম।
প্রিয় মাঠে সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে মুমিনুল সাজঘরে ফেরেন ১১৫ রানে। লিড দ্রুত বাড়ানোর চেষ্টায় উইন্ডিজ পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি আউট হন। ডিপ স্কয়ার লেগে তার ক্যাচ নেন কেমার রোচ। ১৮২ বলের ইনিংসে তিনি বাউন্ডারি মারেন ১০টি।
এই টেস্টের আগে তিন হাজারি ক্লাব থেকে ১৪০ রান দূরে ছিলেন মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরায় দ্বিতীয় ইনিংসে তার প্রয়োজন ছিল ১১৪ রান। গ্যাব্রিয়েলের করা ইনিংসের ৬৫তম ওভারের তৃতীয় বলটি মিড উইকেটে দিয়ে সীমানাছাড়া করে তা পেরিয়ে যান তিনি। পরের বলেই অবশ্য তাকে ছাড়তে হয় মাঠ।
প্রথম ইনিংসের ভালো শুরুকে পূর্ণতা দিতে না পারা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে করেন সাবলীল ব্যাটিং। আগের দিনশেষে তার রান ছিল ৩১। এদিন প্রথম সেশনেই ৮৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতির পর আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। সেঞ্চুরি করতে তার লাগে ১৭৩ বল। এটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে শ্লথ সেঞ্চুরি।
টেস্টে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় যৌথভাবে চারে উঠেছেন মুমিনুল। গলে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্কের আছে সাতটি সেঞ্চুরি। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে ১১টি সেঞ্চুরি নিয়ে জয়াবর্ধনে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড দখলে রেখেছেন জয়াবর্ধনে।
ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন হাবিবুল। ২০০৮ সালে টেস্টকে বিদায় জানানো সাবেক এই তারকার সংগ্রহ ৫০ টেস্টে ৩ হাজার ২৬ রান।
Comments