দ.আফ্রিকার আশা মাড়িয়ে পাকিস্তানকে জেতালেন হাসান-আফ্রিদি
৩৭০ রান তাড়ায় নেমে আগের দিন ১ উইকেটে ১২৭ রান তুলে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ রান তাড়ার এক নজির দেখানোর পথে সেঞ্চুরি করে দলকে টানছিলেন এইডেন মার্কাম। তবে পাকিস্তানের দুই পেসার হাসান আলি আর শাহীন শাহ আফ্রিদির সামনে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে সফরকারীরা হেরেছে ৯৫ রানে। পাকিস্তানে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে এসে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে কুইন্টেন ডি ককের দল। প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে দিতে হাসান ৬০ রানে ৫ আর শাহীন ৫১ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসেও ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান। প্রথমবারের মতো ম্যাচে হয়ে যায় তার ১০ উইকেট।
১ উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে নেমে দিনের শুরু রাফি ফন ডার ডুসেনকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে জমে উঠে মার্কামের জুটি। দুজনের শতরানের জুটিতে ম্যাচ জেতার আশা বেড়ে যায় তাদের।
লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি তুলে ফেলেন মার্কাম। ফিফটির কাছে চলে যান বাভুমা। ৩ উইকেটে ২১৯ রান তুলে ফেলায় তাদের জেতার সম্ভাবনাই ছিল বেশ। লাঞ্চ থেকে ফিরে ফিফটি ছাড়ান বাভুমা। উপমহাদেশে আরেকটি বড় রান তাড়ার মঞ্চ তখন তৈরি।
কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বল বদলে দেয় এই হিসেব। আগ্রাসী হয়ে উঠেন পাকিস্তানের দুই পেসার। পর পর দুই বলে মার্কাম আর ডি কককে তুলে নেন হাসান। এরপর আর নেই কোন প্রতিরোধের গল্প। হুড়মুড় করে ধসে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭২
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ২০১
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯৮
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৭০, আগের দিন ১২৭/১) ৯১.৪ ওভারে ২৭৪ (মারক্রাম ১০৮, ফন ডার ডাসেন ৪৮, দু প্লেসি ৫, বাভুমা ৬১, ডি কক ০, মুল্ডার ২০, লিন্ডে ৪, মহারাজ ০, রাবাদা ০, নরকিয়া ২*; আফ্রিদি ৪/৫১, হাসান ৫/৬০, নুমান ০/৬৩, ইয়াসির ১/৫৬, ফাহিম ০/৩৭, ফাওয়াদ ০/৫-)।
ফল: পাকিস্তান ৯৫ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ২-০তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: হাসান আলি
ম্যান অব দা সিরিজ: মোহাম্মদ রিজওয়ান
Comments