ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১১

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় হামলায় অন্তত ১৮টি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সমং বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় হামলায় অন্তত ১৮টি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গতকাল সন্ধ্যা এবং আজ সোমবার সকালে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাবুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম সংঘর্ষের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিবাদমান দুই পক্ষের কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিসুজ্জামান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের কমিটি নিয়ে দুটি অংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন চতুল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান। কিছুদিন আগে যুবলীগের অপর নেতা মো. রফিকুল ইসলামকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক করা হয়। এ নিয়ে ওই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেলিমুজ্জামান ও রফিক দুজনেই চতুল ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তারা দুজনেই সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাবুরবাজারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে একটি গণসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।

পরে সোমবার সকালে রফিকের সমর্থকরা  প্রায় ১৮টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এ সময় সময় মিন্টু মোল্লা নামে একজন আহত হয়।

এ ব্যাপারে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমার একটি নির্বাচনী সভা এবং সভা শেষে গণসংযোগ হওয়ার কথা ছিল। অথচ আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা সহিংস উপায় অবলম্বন করে আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী বানচাল করেছে। আমার লোকেরা বাধা দিলে তাদের বেধড়ক মারপিট করেছে এবং ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’

উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি তখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলাম। আমার জানা মতে একটি হত্যা মামলার আসামি করা নিয়ে সেলিমুজ্জামানের সমর্থকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

9h ago