কচুরিপানায় ৩০ কিলোমিটার সুবন্ধি খাল মৃত্যুপথে

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সুবন্ধি খালটি এখন মৃত্যু শয্যায়। ৩০ কিলোমিটার লম্বা ও ২০০ মিটার চওড়া এই খালে এখন শুধুই কচুরিপানা। অন্তত ১০টি ছোট খালের সঙ্গে সংযুক্ত এই খাল আশীর্বাদের পরিবর্তে দুই পাড়ের লাখো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছবি: সোহরাব হোসেন

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সুবন্ধি খালটি এখন মৃত্যু শয্যায়। ৩০ কিলোমিটার লম্বা ও ২০০ মিটার চওড়া এই খালে এখন শুধুই কচুরিপানা। অন্তত ১০টি ছোট খালের সঙ্গে সংযুক্ত এই খাল আশীর্বাদের পরিবর্তে দুই পাড়ের লাখো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমতলী পৌরসভাসহ ২৫টি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত সুবন্ধি খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেওয়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। খাল কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় এর দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

সুবন্ধি খালসহ উপজেলার সব নদী এবং জলাভূমি সংরক্ষণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় খালটির তীরে হলদিয়া বাজারে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও সুবন্ধি বাঁচাও আন্দোলন যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে।

সুবন্ধি খালে প্রথম বাঁধ দেওয়া হয় ১৯৮২ সালে। চাওড়া ও পায়রা নদীর ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধটি তৈরি করেছিল। জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ত পানি ঠেকাতে ২০০৯ সালে আরেকটি বাঁধ দেয় পাউবো। এতে পানি প্রবাহ সীমিত হয়ে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালীরাও কয়েক জায়গায় বাঁধ দিয়ে খালে মাছ চাষ করছে।

দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের মো. বশির উদ্দিন বাদল মৃধা জানান, জনদুর্ভোগ নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে কচুরিপানা অপসারণ করা দরকার। প্রভাবশালীদের দেওয়া বাঁধ কেটে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

কাউনিয়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন জুয়েল জানান, খালের কচুরিপানা জমে পানি পচে গেছে। এ পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

কচুরিপানা অপসারণ করে খালের পানি ব্যবহার উপযোগী করতে ৫০ কোটি টাকা একটি প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম। প্রকল্পের আওতায় চারটি স্লুইস, ১০টি কালভার্ট, দুইটি আউটলেট, ৪০ কিলোমিটার খাল খনন ও কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago