উত্তরাখণ্ডে তুষারধস: ৩২ মরদেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ১৯৭
ভারতের উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের পর বন্যার ঘটনায় এখনও ১৯৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমটি জানায়, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। প্রবল বন্যায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সেখানকার ১৩টি গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রবল বন্যায় তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঋষিগঙ্গা প্রকল্পেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকশ বাড়িঘর ও গবাদিপশু ভেসে গেছে পানির স্রোতে।
সেনাবাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ৬০০ সদস্য সেখানে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন।
ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি সুড়ঙ্গের ভেতরে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আড়াই কিলোমিটার সুড়ঙ্গের ভেতরে ২৫ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন।
সুড়ঙ্গের ভেতরে পানির স্তর ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। এক নৌ-কর্মকর্তা জানান, সুড়ঙ্গে যারা আটকা পড়েছেন তাদের উদ্ধারে বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাদের জীবিত উদ্ধারের ব্যাপারে কর্মকর্তারা আশাবাদী হলেও এখনও পর্যন্ত ভেতরে আটকা পড়া কোনো শ্রমিকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারেননি।
গতকাল এক টুইটে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত আইটিবিপি সদস্যদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে রেশন, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত বলেন, ‘আইটিবিপির সদস্যরা পাহাড়ি পথে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার হেঁটে গ্রামে গ্রামে খাবার, ওষুধ এবং পানি পৌঁছে দিচ্ছেন।’
কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে গতকাল দেহরাদূনের ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজি (ডব্লিউআইএইচজি) থেকে বিজ্ঞানীদের দুটি দল চামোলিতে পৌঁছেছেন। তারা হেলিকপ্টার থেকে পুরো এলাকায় জরিপ চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে তুষারধস: নিহত ১৪, নিখোঁজ ১৭০
Comments