‘জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব ধারণ করার অধিকার রাখেন না’

সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান যে অপরাধ করেছেন, তাতে তিনি বীর উত্তম খেতাব ধারণ করার অধিকার রাখেন না বলে মন্তব্য করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের (এসসিএফ) মহাসচিব হারুন হাবীব।
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান যে অপরাধ করেছেন, তাতে তিনি বীর উত্তম খেতাব ধারণ করার অধিকার রাখেন না বলে মন্তব্য করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের (এসসিএফ) মহাসচিব হারুন হাবীব।
 
আজ বুধবার দুপুরে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা তারা বিবেচনা করবে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করেছেন এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। তিনি যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সেটাও ঐতিহাসিকভাবে সত্য।’
 
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারাও মুক্তিযুদ্ধে কোনো না কোনো পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে তারা সত্যিকারের যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে অংশ নিয়েছিলেন সে বিষয়টি আমরা জানি না। জিয়া যে অপরাধ করেছেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ধ্বংস করেছেন, রাজাকার গোলাম আজমদের পুনর্বাসন করেছেন, তাতে এই খেতাব ধারণ করার অধিকার তিনি রাখেন না।’
 
গতকাল অনুষ্ঠিত ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছরে এসে জিয়াউর রহমানের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
 
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাদের পরিবারও কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। সভায় জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়।
 
জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা দান এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের করার অভিযোগ আনা হয় সভায়।
 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ তোলা হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা কোনো মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি।
 
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে স্বাধীনতাযুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করা এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার আসামি বা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের নাম কীভাবে থেকে গেল তা দেখতে একটি কমিটি কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago