ইরানের আটককৃত ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বিক্রি করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গত বছর ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের পর দেশটির আটককৃত এক মিলিয়ন ব্যারেলের বেশি তেল বিক্রি করে দিয়েছে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র দেশটি।
গতকাল কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন— ইরানের আটককৃত এক মিলিয়ন ব্যারেলের বেশি তেল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে এবং সেই অর্থ ইউএস ভিকটিম অব স্টেট স্পন্সরড টেররিজম তহবিলে জমা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, উপসাগরীয় দেশটির অপরিশোধিত তেলের আরেকটি জাহাজ আটক করা হয়েছে এবং সেই জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও দেশটির ‘সন্ত্রাসী’ দলগুলোকে কেন্দ্র করে গত বছর তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপ করে। গত কয়েক দশক ধরে দেশ দুটির মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধকে ইরান ‘অনৈতিক’ বলে প্রত্যাখান করে আসছে।
অবরোধ আরোপের পর ইরানের ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল গ্যাসোলিন আটক করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরান থেকে চারটি ট্যাংকারে করে গ্যাসোলিন ভেনেজুয়েলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আটক ইরানি তেলের এটিই সবচেয়ে বড় চালান। আটকের পর সেসব ট্যাংকার থেকে তেল অন্য জাহাজে তুলে তা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মুখপাত্র মার্ক রাইমন্ডি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আটককৃত তেল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সরকার এখন মোট খরচ হিসাব করছে।
তবে তেল বিক্রি করে কত অর্থ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপে গ্যাসোলিনের বাজার মূল্য হিসাবে এর দাম ১০ মিলিয়ন ডলার হতে পারে।
এই অর্থ ইউএস ভিকটিম অব স্টেট স্পন্সরড টেররিজম তহবিলে জমা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইরানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Comments