ফেনীতে কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ
ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলায় নোয়াখালীর বসুরহাটের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টা ২০ মিনিটে উপজেলার ২নং ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই আবদুল কাদের মির্জা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে গেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আজ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আসার পথে ফেনীর দাগনভুঞাতে আমার গাড়িবহরে হামলা করেছে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি রোধ করে। একটা ট্রাক থাকার কারণে আমার গাড়ি দ্রুত আসার সুযোগ পেয়েছে। যে কারণে কিছু করতে পারেনি। আমার পেছনে আরও ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ছিল সেগুলোর ওপর হামলা করা হয়েছে। ইটপাটকেল মারা হয়েছে। সেলিম নামে আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘ফেনীতে যে হত্যার রাজনীতি চলছে, আমি আগেও বলেছিলাম এটা বন্ধ করার জন্য। কিন্তু কেন বন্ধ করা হচ্ছে না! কাদের ইঙ্গিতে আজ নিজাম হাজারীরা, একরাম চৌধুরীরা এত দাপট দেখায়! তারা আজ আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দেশে কি সরকারে নেই? এ দেশে কি প্রশাসন নেই? এটার কি বিচার হবে না? বসুরহাট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ফেনীতে আসতে দেওয়া হয় না। তেলের জন্য এলে নিজাম হাজারী, দিদারের লোকজনকে টাকা দিতে হয়। পুলিশকে টাকা দিতে হয়, ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতে হয়। আমরা যাকে এ এলাকার মন্ত্রী বানিয়েছি, তার কাজ কি? সে মন্ত্রী অপশক্তির কাছে আজ মাথানত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে শপথ অনুষ্ঠান থেকে আমার এলাকায় ফিরে গিয়ে এদের দল থেকে বহিষ্কারের জন্য, নোয়াখালী ও ফেনীতে অপরাজনীতি বন্ধ করতে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমি বলেছি, সাহস করে সত্য কথা বলবো। অন্যায়-অবিচার-জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো। শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান থাকবে, এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। না হলে আপনার সব অর্জন এরা ধ্বংস করবে। এদের কারা সেল্টার দিচ্ছে? তাদের চিহ্নিত করেন। সে যত বড় নেতা হোক, যত বড় মন্ত্রী হোক। তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিন।’
আজ রাত ৮টায় লাইভে এসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান আবদুল কাদের মির্জা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
যোগাযোগ করা হলে নিজাম উদ্দিন হাজারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এগুলো তার মস্তিষ্ক প্রসূত বক্তব্য। আমরা এগুলো ভাবিও না, জানিও না। ঘটনা ঘটার পরে জানতে পারছি।’
নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Comments