মানবতাবিরোধী অপরাধে ৩ জনের আমৃত্যু ও ৫ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড
![International Crimes Tribunal International Crimes Tribunal](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/ict-1_2_0.jpg?itok=yHSSEgzg×tamp=1613029817)
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার তিন আসামির আমৃত্যু ও পাঁচ আসামির ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া, এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরুর পরে প্রথমবারের মতো কোনো আসামি খালাস পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (প্রসিকিউটর) রেজিয়া সুলতানা চমন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এএফএম ফয়জুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল। এদের মধ্যে এএফএম ফয়জুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল পলাতক।
রায়ে মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আলিম উদ্দিন খান পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার আরেক আসামি আবদুল লতিফ খালাস পেয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরের বছরের ৪ মার্চ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এদের মধ্যে বিচার চলাকালে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার এবং পলাতক অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহানের মৃত্যু হয়।
Comments