রাহি-সৌম্যের নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তিন স্পিনারের সাদামাটা বোলিংয়ের মাঝে সেই আবু জায়েদ রাহি এখন পর্যন্ত দলের সফলতম বোলার। অনিয়মিত পেসার হিসেবে খেলা সৌম্য সরকারও নিলেন উইকেট। এই দুজনের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় সেশনে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা টেস্টের প্রথম সেশনে ২৯ ওভার খেলে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করেছিল উইন্ডিজ। দ্বিতীয় সেশনেও হলো ২৯ ওভার। তাতে ৬২ রান তুললে ক্যারিবিয়ানরা হারাল আরও ৩ উইকেট। ৫৮ ওভার শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ১৪৬। কাজেই দ্বিতীয় সেশনে পরিষ্কার দাপট বাংলাদেশের।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে লাঞ্চের পর নেমে হাঁসফাঁস করছিলেন শেন মোসলি। রাহির অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে রান বের করার চেষ্টা করছিলেন। ব্যাটে বল না লাগায় বেঁচেও যাচ্ছিল। ৩৩তম ওভারে আর বাঁচলেন না। রাহির প্রায় এক হাত বাইরের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৮৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। ৭ রানে থামেন মোসলি।
পরের উইকেটটিও এসেছে বাজে শটে। সৌম্যের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি ফিফটির কাছে থাকা ব্র্যাথওয়েট। আউটসাইড এজ হয়ে যাওয়া বল স্লিপে সহজেই হাতে জমান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন রানের জন্য ফিফটি হাতছাড়া হয় ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের।
খানিক পরই বড় উইকেটের পতন। চট্টগ্রামে উইন্ডিজের ম্যাচ জেতানোর নায়ক কাইল মায়ার্স ঢাকার ফিরে ব্যর্থ। বিপর্যয়ে দলকে টানার দায়িত্ব ছিল তার। এবার পারেননি। রাহির পিচড আপ ডেলিভারি হালকা স্যুয়িং করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ড্রাইভ করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে নিতে পারেননি। এজ হয়ে যাওয়া বল সহজেই ধরা পড়ে সৌম্যের নিরাপদ হাতে। ১ উইকেটে ৮৭ থেকে ১১৬ রানেই পড়ে যায় সফরকারীদের ৪ উইকেট।
উইকেট ফেলার সঙ্গে রান আটকে দেওয়ার কাজটাও করছিলেন দুই পেসার। চাপও বাড়াচ্ছিলেন তারাই। আরেক পাশে একমাত্র তাইজুল ইসলাম ছাড়া বাকি দুই স্পিনার সুবিধা করতে পারছিলেন না। দুই সেশন মিলিয়ে ২২ ওভারই তাই দুই পেসারকে দিয়ে করিয়েছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৫৮ ওভারে ১৪৬/৪ (ব্র্যাথওয়েট ৪৭, ক্যাম্পবেল ৩৬, মোসলি ৭, বোনার ৩০*, মায়ার্স ৫, ব্ল্যাকউড ১৮*; জায়েদ ২/৩২, মিরাজ ০/২০, নাঈম ০/২৮, তাইজুল ১/৪১, ১/২৩ সৌম্য)।
Comments