ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে বার্সেলোনাকে ছুঁয়ে ফেলল বায়ার্ন
মেক্সিকোর দল তাইগ্রেসকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়ন হয়ে একটি বিস্ময়কর কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছে জার্মান পরাশক্তিরা। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এক বছরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ছয় শিরোপার সবগুলোই জিতেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ফাইনালে তাইগ্রেসকে ১-০ ব্যবধানে হারায় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে বাভারিয়ানদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন বেঞ্জামিন পাভার্দ। শুরুতে অবশ্য অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান। পরে ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে পাল্টে যায় ওই সিদ্ধান্ত।
২০০৯ সালে পেপ গার্দিওলার অধীনে সম্ভাব্য ছয় শিরোপার সবকটি ঘরে তুলেছিল বার্সা। উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের প্রথম দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নেওয়া তাইগ্রেসকে পরাস্ত করে এক যুগ পর ওই রেকর্ড স্পর্শ করেছে বায়ার্ন। গত বছর তারা জিতেছিল বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ, জার্মান সুপার কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা সুপার কাপ। এবারে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে। আসরটি গত বছরের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যায়।
মাত্র ৬৮ ম্যাচে বায়ার্নের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছেন কোচ ফ্লিক। তার অধীনে দলটি জিতেছে ৫৮ ম্যাচে, হেরেছে ও ড্র করেছে সমান ৫টি করে ম্যাচে। অর্থাৎ যতগুলো ম্যাচ হেরেছেন, তার চেয়ে বেশিবার শিরোপা উঁচিয়ে তোলার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি!
ম্যাচের শেষে গণমাধ্যমের কাছে বায়ার্নের তারকা স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদভস্কি বলেছেন, ‘এটা একটা স্পেশাল গল্প। আমরা এই শিরোপাটি জিততে মরিয়া ছিলাম। বিমানে করে ফেরার পথে আমরা এর স্বাদ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করব।’
ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের এটি দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৩ সালে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। চারটি শিরোপা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় সবার উপরে আছে স্পেনের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
Comments