টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান মোরির পদত্যাগ
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান মোরি ইয়োশিরো। নারীদের নিয়ে মন্তব্য করে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পেলেন না জাপানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন জাপানের পেশাদার ফুটবল লিগের সাবেক চেয়ারম্যান কাওয়াবুচি সাবুরো। তাকে টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে অনেকটাই নিশ্চিত।
জাপানের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কাওয়াবুচিকে প্রধান প্রার্থী হিসেবে রেখে মোরির উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কাওয়াবুচি নিজেও এই পদের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি মোরি বলেছিলেন, নারীদের যোগ দেওয়া নির্বাহী বোর্ডের বৈঠক শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগে। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এবং তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হলো না তাতে। তার এই মন্তব্যের কারণে আসন্ন টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমসের শত শত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচন শুরু হয়। ফলে, ওই মন্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হওয়ার পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তবে, মোরি ইয়োশিরোর এমন মন্তব্যে অবাক হয়েছেন জাপানের অনেকই। কারণ, একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি পরিশীলিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কথা বলার ক্ষেত্রে তিনি অন্যদের তুলনায় অনেক সাবধানী থাকতেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, বয়সের কারণেই হয়তো হঠাৎ করেই বেসামাল মন্তব্য করেছেন তিনি।
মোরি ইয়োশিরোর আছে বর্ণাঢ্য ও সফল রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ৮৩ বছর বয়সী মোরি ১৯৬৯ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিম্ন কক্ষের একটি আসনে টানা ১৪ বার নির্বাচিত হন। সরকার ও দলের মুখ্য অনেক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০০ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রায় এক (৫ এপ্রিল ২০০০- ২৬ এপ্রিল ২০০১) বছরের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
২০১২ সালে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এর দু’বছর পর টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে এই গেমস আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।
Comments