আলমডাঙ্গার সেই আ. লীগ প্রার্থীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি

নির্বাচন অফিসকে সন্তোষজনক জবাব দিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির।
আজ শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার বিরোধীদলের ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া এবং ভোট কারচুপির পরিকল্পনা করে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হাসান কাদিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় ।
মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির জানান, ভবিষ্যতে তার কোনো জনসভায় এ ধরণের বক্তব্য যাতে কেউ না দেয়, সে বিষয়ে তিনি সতর্ক থাকবেন বলে নির্বাচন অফিসে অঙ্গীকার করেছেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ‘ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে, সেন্টারে যায়ে ভোট হবে না’ সংক্রান্ত বক্তব্য রাখেন। সেখানে তাকে রাতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট করার কৌশল শেখাতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপের উদ্ধৃতি দিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই দিন হাসান কাদিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় নির্বাচন অফিস। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে তাকে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান মেয়র হাসান কাদির (নৌকা), জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র মীর মহিউদ্দিন (ধানের শীষ) ও জেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি সবেদ আলী (মোবাইল ফোন)। এ ছাড়া, ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মীর মহিউদ্দিন বলেন, ‘হাসান কাদির যে এরকম একটি অব্যাহতি পেতে যাচ্ছেন, আমরা আগেভাগেই তা অনুধাবন করতে পেরেছিলাম। এই সরকারের নির্বাচন কমিশন কী আর করবে।’
আরও পড়ুন:
আগের রাতে ভোট দেওয়ার কৌশল শেখানো সেই আ. লীগ প্রার্থীকে শো কজ
Comments