শক্ত হাতে হাল ধরেছেন লিটন-মিরাজ

miraz and liton
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সকালে প্রশ্নবিদ্ধ শটে মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে প্রবল চাপ জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের ওপর। এমনকি তৈরি হয়েছিল ফলো-অনের শঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ শক্ত হাতে ধরলেন দলের হাল। তাদের কল্যাণে সংশয় রূপ নেয়নি বাস্তবে। দুজনের হাফসেঞ্চুরিতে বিপর্যয় এড়িয়ে সামনে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানের জবাবে স্বাগতিকরা কতদূর যেতে পারবে তা নির্ভর করছে এই জুটির ওপর।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭২ রান। ইতোমধ্যে ফলো-অন এড়িয়ে গেছে তারা। তবে উইন্ডিজের চেয়ে এখনও ১৩৭ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। ক্রিজে আছেন লিটন ৬৬ রানে। তার সঙ্গী ও চট্টগ্রামে সিরিজের আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করা মিরাজ খেলছেন ৫৩ রানে। দুজনের ইনিংসে বাউন্ডারি সমান ৬টি। ক্যারিবিয়ান বোলারদের হতাশায় মুড়িয়ে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটির রান ১১৭।

৬ উইকেটে ১৮১ রান নিয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হলো মোট ২৭ ওভার। সাবলীল কায়দায় খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে মুমিনুল হকের দল তুলল ৯১ রান।

প্রথম সেশন শেষে লিটন-মিরাজের জুটির সংগ্রহ ছিল ২৬ রান। বিরতির পর ১০৫ বলে আসে জুটির পঞ্চাশ। তাদের জুটি শতরান ছুঁয়ে ফেলে ১৮৯ বলে। বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে খেলতে দেখা যায়নি তাদের।

এনক্রুমা বনারকে টানা দুটি চার মেরে লিটন ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ৯২ বলে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বল স্কয়ার লেগে ঠেলে তিন রান নিয়ে মিরাজ সাদা পোশাকে তৃতীয়বারের মতো ফিফটির দেখা পান ১১২ বলে। তিনি অবশ্য ব্যক্তিগত ২৮ রানে একবার জীবন পান রাহকিম কর্নওয়ালের বলে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ১৪২.২ ওভারে ৪০৯

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১০৫/৪) ৮৮ ওভারে ২৭২/৬ (মুশফিক ৫৪, মিঠুন ১৫, লিটন ৬৬*, মিরাজ ৫৩*; গ্যাব্রিয়েল ২/৬১, কর্নওয়াল ৩/৬০, আলজারি ১/৫৯, মেয়ার্স ০/১৫, ওয়ারিকান ০/৪৮, বনার ০/১৭)।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago