বড়াইগ্রাম পৌর নির্বাচন

অন্যের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নৌকার এজেন্টের বিরুদ্ধে

Boraigram_Election_14Feb21.jpg
বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী ও প্রিসাইডিং অফিসার খায়রুল আলম (বাম থেকে)। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া

নাটোরের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বড়াইগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এজেন্টের বিরুদ্ধে অন্য ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটাররা এ অভিযোগ তোলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইজিং অফিসার উজ্জ্বল কুমার কুণ্ডু দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে অন্য ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আমার সামনেও তিনি অন্য এক ভোটারের ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বের করে দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকাল ৮টায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়াইগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। পোলিং এজেন্ট যারা সরকারি বিধি মেনে এসেছেন, তাদের আমরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিয়েছি। দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট অনেকে আমাদের পূর্বে জানায়নি, ছবি দেয়নি, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দেয়নি— তাদের আমরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে পারিনি। সরকারি বিধি অনুযায়ী, ভোট শুরুর আধা ঘণ্টা আগে তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি, চারটা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট নিতে পারবো।’

তবে সকাল থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলছেন প্রার্থীরা। বড়াইগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজীকে প্রিসাইডিং অফিসার খায়রুল আলমের সঙ্গে বসে চা খেতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, ‘আমি খোঁজ-খবর নিতে এসেছি। প্রিসাইডিং অফিসার পূর্ব পরিচিত তাই তার কাছে এসেছি।’

আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী এই কেন্দ্রের ভোটার না হওয়ার পরও কীভাবে আপনার পাশে বসে আছেন— জানতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার খায়রুল আলম বলেন, ‘বরাইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় তিনি জনগণের খোঁজ নিতে এসেছেন।’

নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী এটা করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি এজেন্টরা পারেন।’ এজেন্ট হলে নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া নির্ধারিত কার্ড থাকার কথা, আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো কার্ড দেখিনি। পূর্ব পরিচিত তাই বসিয়েছি, চা খাওয়াবো।’

পাশাপাশি বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনকেও নির্বাচনি এলাকায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তাদের যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া আছে। তারা সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

2h ago