আখাউড়ায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপিসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
‘মোবাইল ফোন’ মার্কার মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দেবগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে আমার এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট নেওয়া হচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ‘নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তাকজিল খলিফা কাজলের পক্ষের লোকজন জোর করে ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের কয়েকজন এজেন্ট অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেছেন যে ভোটগ্রহণ শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপর নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোর করে নৌকায় ভোট দিতে ভোটারদের বাধ্য করেছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর তারা নিজেরাই নৌকার ভোট দিচ্ছেন। তারা ভোটারদের বলছেন, ‘কাউন্সিলর ভোট যাকে খুশি তাকে দেন। নৌকার ভোট হয়ে গেছে। বেশি কথা বললে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে।’
এ প্রসঙ্গে আখাউড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্র্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ডেইলি স্টারকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বলেছেন, ‘আমি এই মুহূর্তে মোবাইল ফোন মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থান করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনও এখানে অবস্থান করছে। আমি তো এরকম কোনো পরিস্থিতি দেখছি না।’
তিনি সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অভিযোগ জানাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন।
Comments