প্রতিদিন ২ লাখ মানুষ টিকা নিচ্ছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে মনোভাবের পরিবর্তন হওয়ায় এখন প্রতিদিন দুই লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরার অভ্যাস না ছাড়তেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: স্টার

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে মনোভাবের পরিবর্তন হওয়ায় এখন প্রতিদিন দুই লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরার অভ্যাস না ছাড়তেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আজ দুপুরে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা দেওয়া হচ্ছে সেটা সবচেয়ে নিরাপদ উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, করোনা কিন্তু এখনই চলে যাচ্ছে না। মাস্ক পরার বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। মাস্ক আপনারা পরতে থাকবেন, টিকাও নিতে থাকবেন। এক পর্যায়ে ইনশাল্লাহ দেশ থেকে করোনা বিদায় নেবে।

‘এই হাসপাতালটি আমরা ঘুরে দেখলাম। এখানে করোনার টিকা খুবই সফল ভাবে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকদিন প্রায় দেড় হাজার লোককে টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনার উৎপত্তি কিন্তু এ নারায়ণগঞ্জ থেকেই হয়েছিল। আমি সারা দেশের সঙ্গে কথা বলতাম ও খোঁজ নিতাম। দুটি জায়গা থেকে বেশি করোনা ছড়িয়েছে এর একটি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর। ঢাকা শহর থেকেও ছড়িয়েছে। এটি একটি করোনার সেন্টার ছিল। কিন্তু আনন্দের বিষয় যেটা করোনার সেন্টার ছিল এ জায়গাটাই এখন প্রায় করোনা মুক্ত।’

নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হৃদরোগ হাসপাতাল করার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘এমপি শামীম ওসমান একটি ভবনের কথা বলেছেন। ভবনটি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ওই ভবনটিতে হৃদরোগ হাসপাতাল করার জন্য ওনার অনুরোধ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখব। ভবনটি পড়ে থেকে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে অথচ কোনো কাজে লাগছে না। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে ভবনটি নেওয়ার চেষ্টা করব। ভবনটি যদি আমরা নিতে পারি তাহলে অবশ্যই এখানে একটি সুন্দর হাসপাতাল হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago