জাবি কলা অনুষদে সেরা প্রকাশনার পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদে গত পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ প্রকাশনার জন্য ‘আবু জাফর শামসুদ্দীন ও আয়েশা আখতার খাতুন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ পুরস্কার পেয়েছেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং এন্ড লার্নিং (সিইটিএল)-এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের আয়োজনে বেলা সাড়ে ১১টায় এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। অধ্যাপক ভূঁইয়ার হাতে সম্মাননাপত্র এবং চেক তুলে দেন ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক সিকান্দার দারা শামসুদ্দীন ও কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক দারা শামসুদ্দিন বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার সামাজিক অধিকার, সৃজনশীল কাজ ও গবেষণা দিয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকতে পারে। এ তিনটি বিষয় নিয়ে আমাদেরও কাজ করতে হবে। ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশু, লাইব্রেরি, স্বাস্থ্য ও সাংবাদিকতা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদেও প্রণোদনা দিয়ে থাকি। এই বিষয়গুলো সাধারণত কলা ও মানবিকী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই বিশেষভাবে এখানে প্রণোদনা দিচ্ছি।’
কলা ও মানবিকী এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের মধ্যে পালাক্রমে প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মাননাপ্রাপ্ত অধ্যাপক বলেন, ‘দর্শনে পড়তে এসে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছি। গবেষণা করতে হলে অর্থনৈতিক প্রণোদনাটা খুবই জরুরি। তবে প্রণোদনার কথা চিন্তা না করে মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকেই গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
এসময় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং অধ্যাপক আনোরুল্লাহ ভূঁইয়াকে শুভেচ্ছা জানান।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, দর্শন বিভাগের সভাপতি মুস্তফা নাজমুলসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে অধ্যাপক ভূঁইয়ার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা প্রায় ৩০টি। এছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
Comments