বসন্ত বাতাসের শাহ আব্দুল করিম

Shah Abdul Karim.jpg
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। স্টার ফাইল ফটো

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী শাহ আব্দুল করিমের ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ কিংবা ‘গাড়ি চলে না’ মতো কালজয়ী গানগুলো এখনও শ্রোতাদের মন আলোড়িত করে।

বাংলার লোকায়ত গানের সর্বশেষ অধীশ্বর বলা হয় করিমকে। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বসন্ত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ুক তার জন্মদিনের কথা।

শাহ আব্দুল করিম প্রায় দেড় হাজারের মতো গান রচনা করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ছয়শ’র মতো গান সংগ্রহ করেছেন তিনি।

তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- ‘প্রাণনাথ ছাড়িয়া যাইও না মোরে’, ‘আগের বাহাদুরি এখন গেল কই’, ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে’, ‘আমার বন্ধুয়া বিহনে গো’, ‘মাটির পিঞ্জিরার সোনা ময়না রে’, ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইছে’, ‘আইলা না আইলা নারে বন্ধু’, ‘মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ হওয়া যায়’, ‘সখি কুঞ্জ সাজাও গো’, ‘তুমি বিনে আকুল পরাণ’, ‘আমি তোমার কলের গাড়ি’, ‘আমি কুলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিব আমি’ ও ‘রঙের দুনিয়া তোরে চাই না’সহ অনেক গান।

শাহ আব্দুল করিম ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। লালন ফকির, হাছন রাজা, রাধারমণ, শীতালং শাহ, আরকুম শাহ, দূরবীন শাহ, উকিল মুন্সী, শেখ বানুকে মনেপ্রাণে লালন করে গান করতেন তিনি।

তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা মোট সাতটি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— আফতাব সঙ্গীত (১৯৪৮), গণ সঙ্গীত (১৯৫৭), কালনীর ঢেউ (১৯৮১), ধলমেলা (১৯৯০), ভাটির চিঠি (১৯৯৮), কালনীর কূলে (২০০১) ও শাহ আব্দুল করিম রচনাসমগ্র (২০০৯)।

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

53m ago