ব্যাটিংয়েও নায়ক অশ্বিন, তার সেঞ্চুরির পর জয় দেখছে ভারত
৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ধসিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট করতে নেমেও দারুণ এক সেঞ্চুরিতে নায়ক বনেছেন তিনি। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যের পর তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে ভারত।
অশ্বিনের সেঞ্চুরিতে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৮৬ রান। ইংল্যান্ড থেকে তারা স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় ৪৮১ রানে। ৪৮২ রানের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙ্গার দুরূহ চ্যালেঞ্জে নেমে ৫৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে ইংল্যান্ড। চেন্নাইতে সোমবার দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই তাই ম্যাচের গতিপথ তাই অনেকটাই পরিষ্কার।
১ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারতের তাড়া ছিল দ্রুত রান তুলার। প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানের বড় লিডের সঙ্গে টার্নিং উইকেটে যত দ্রুত রান বাড়ানো যায় সেই কৌশলই ছিল তাদের।
কিন্তু সকালে নেমেই ধাক্কা খায় পরিকল্পনা। তড়িঘড়ি ফিরে যান রোহিত শর্মা, রিশভ পান্ত। বেশিক্ষণ টেকেননি চেতশ্বর পূজারা। অধিনায়ক বিরাট কোহলি এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। আজিঙ্কা রাহানে আর অক্ষর প্যাটলও যোগ সঙ্গত।
১০৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপরই ক্রিজে এসে কোহলির সঙ্গে দারুণ জুটি পান অশ্বিন। দুজনের জুটিতে আসে ৯৬ রান। ৬২ করা কোহলিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মঈন আলি।
এরপর টেল এন্ডারদের এক পাশে রেখে চলে অশ্বিনের একক পথচলা। বেশিরভাগ সময় স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। শেষ ৩ উইকেটে যোগ করেন আরও ৮২ রান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইশান্ত শর্মা আউট হওয়ার সময় ভারতের রান ছিল ২৩৭। মোহাম্মদ সিরাজকে এক পাশে রেখে ওই অবস্থা থেকে দ্রুত তিন অঙ্কের দিকে এগিয়ে যান অশ্বিন। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে তবেই থেমেছে তার দৌড়।
টার্নিং উইকেটে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমে প্রথম আধঘন্টা পার করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ররি বার্নস-ডম সিবলি। প্যাটেল এসে সিবলিকে এলবিডব্লিউ বানিয়ে হানেন প্রথম আঘাত। সেঞ্চুরির রেশ থাকতেই বল হাতে নিয়ে অশ্বিন আউট করেন বার্নসকে। শেষ বিকেলে নাইটওয়াচম্যান জ্যাক লিচকেও কেড়ে নেন প্যাটেল।
টেস্টের বাকি আছে আরও দুই দিন। জিততে হলে ইংল্যান্ডের চাই আরও ৪২৯ রান! ম্যাচ বাঁচানোও প্রায় অসম্ভব। ৭ উইকেট নিয়ে ব্যাট করতে হবে দুদিন। টেস্ট ইতিহাসে কোন উইকেটেই এমন কোন নজির নেই। স্পষ্টভাবে ম্যাচটা মুঠোয় নিয়ে সিরিজের ফেরার অপেক্ষায় আছে ভারত।
Comments