প্রেম করতে ইচ্ছে করে জ্যোতির

জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

একজন প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতি। অভিনয়টাই করতে চান মন দিয়ে। গত দুবছর ধরে শুধু সিনেমার বিষয়েই মনোযোগী তিনি। নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন অন্য সব মাধ্যম থেকে। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘নন্দিত নরকে’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘জীবনঢুলী’, ‘রাবেয়া’, ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’। এছাড়াও কলকাতার ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তার বর্তমান ব্যস্ততা, প্রেম, বিয়ে, নতুন পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়।

জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: স্টার

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আমার একটা প্রযোজনা সংস্থা আছে। সেটা নিয়েই খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। এখান থেকে শুধু সিনেমা তৈরি হবে। দুবছর ধরে এটার গোছগাছে মনোযোগ দিয়েছি। সিনেমার বাইরে অন্য কিছু নিয়েই আর ভাবার সময় নেই। অনেক বছর হয়ে গেল নাটকে কাজ করি না। সিনেমার সঙ্গে থাকবো বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার প্রযোজনা সংস্থা শুধু চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করবে। ইতোমধ্যে একটা সিনেমা করছি। সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে জানাবো।

শেষ কোন সিনেমার শুটিং করেছেন?

শেষ শুটিং করেছি নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’তে। বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পাওয়া মুক্তিযুদ্ধে এক মফস্বল এলাকার মানুষের গল্প নিয়ে সিনেমাটি। আমার চরিত্রের নাম দীপালি সাহা। এরপর গত চার মাসে আর কোনো শুটিং করিনি।

জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

করোনা মহামারির সময়টা কীভাবে কেটেছে?

করোনার সময় অ্যাগ্রো ফার্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বেশি। আমার এই ফার্মের নাম ‘খনা’। এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি। দক্ষ কিছু মানুষ আছে আমার সঙ্গে। এটা নিয়েও অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি। দেশে-বিদেশে খনার কাজ চলছে। অনেক ভালোবাসা নিয়ে এটা করছি।

সিনেমা, নাটক সবখানেই এখন সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এই বিষয়টা কীভাবে দেখেন?

কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গেই আমি নেই, ছিলাম না কোনোকালেই। গত ১৫ বছর ধরে কোনো সিন্ডিকেটে যোগ না দিয়েই এই অবস্থানে এসেছি। যারা সিন্ডিকেট করেছে তারা কী আন্তর্জাতিক মানের কিছু করে ফেলেছে নাকি? করতে পারেনি। তাহলে কেন এসবের সঙ্গে নিজেকে জড়াবো? এসব সিন্ডিকেট কেয়ার করি না, কোনোদিন করবোও না। নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছি। এইভবেই কাজ করে যেতে চাই বাকি জীবন।

জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

প্রেম, বিয়ে?

প্রেম করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তেমন মনের মতো মানুষের দেখা মেলে না। দেখা যায়, যাকে পছন্দ হয়েছে সে অন্য কোথাও বাধা পড়ে আছে। দুপক্ষ থেকে এক না হলে কীভাবে প্রেম হবে? এখন কারও সঙ্গে প্রেম নেই। তবে আমি চাইম আমার জীবনে একটা গভীর প্রেম আসুক।

একসময় অনেক প্রতিবাদ করতেন নানা বিষয়ে। এখন কিছুটা চুপচাপ। কোনো বিশেষ কারণ?

প্রতিবাদ তো করি। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখি। যারা বোঝার ঠিকই বোঝে যে কী নিয়ে প্রতিবাদ করছি। চুপচাপ থাকলাম কোথায়? প্রতিবাদের ধরন হয়তো পাল্টেছি কিন্তু প্রতিবাদ করি।

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

3h ago