শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানিয়েছেন।
রাবাব ফাতিমা। ফাইল ফটো সংগৃহীত

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটি (সি-৩৪)’ এর সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যে বলেন, শীর্ষস্থানীয় সেনা ও পুলিশ পাঠানো দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শান্তিরক্ষী মোতায়েন আছে। তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসময় কোভিড-১৯ এর মধ্যেও অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং স্বাগতিক দেশের করোনা অতিমারী মোকাবিলা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

এসময় শান্তিরক্ষীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা উল্লেখ করে ফাতিমা বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।

এসম তিনি মাঠপর্যায়ে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের পাঠানো তথ্য-পরামর্শগুলো জাতিসংঘের প্রধান নীতি ও দলিলে অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানান।

শান্তিরক্ষীদের উপর হামলার নিন্দা এবং হামলার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

পারদর্শিতা প্রশ্নে প্রয়োজনীয় জনবল ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামসহ কাজ করার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার উপর জোর দেন ফাতিমা। তিনি বলেন, “শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্বসমূহ অবশ্যই হতে হবে স্পষ্ট, বাস্তবভিত্তিক এবং অর্জনযোগ্য; আর সেগুলো থাকবে সামর্থ্য, মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা এবং সম্পদের যথাযথ সংস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ”।

ফাতিমা রাবাব বলেন, মাঠ পর্যায়ে টেকসই শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শান্তি প্রক্রিয়াকে অবশ্যই সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সমাধানের পথে পরিচালিত করতে হবে।

বক্তব্যে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বিনির্মাণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষায় নারী ভূমিকার বৈচিত্র বাড়ানো এবং তাদের কর্ম-উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য সম্পদ বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার উদাহরণ টেনে ফাতিমা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভিন্নমূখী ভূমিকা ও নেতৃত্বশীল পদসহ সব পর্যায়ে নারী শান্তিরক্ষী পদায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা পূনর্ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সি-৩৪ এর সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago