মিয়ানমারে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে সাইবার যুদ্ধ, সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক

মিয়ানমারে টানা চতুর্থ রাতের মতো ইন্টারনেট বন্ধ রাখার প্রতিবাদে মিয়ানমারে শুরু হয়েছে সাইবার যুদ্ধ।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সেনা সরকার পরিচালিত বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। ‘মিয়ানমার হ্যাকারস’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি গ্রুপ কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সামরিক বাহিনীর প্রচারণা পেজ, রাষ্ট্রপরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম এমআরটিভি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনসহ বেশ কয়েকটি সরকার পরিচালিত ওয়েবসাইট অচল করে দেয়।

মিয়ানমার হ্যাকারস গ্রুপটি ফেসবুকে জানিয়েছে ‘আমরা মিয়ানমারে ন্যায়বিচারের জন্য লড়ছি। এটা এমন যেন সরকারি ওয়েবসাইটের সামনে হাজারো মানুষের গণবিক্ষোভ চলছে।’

সেনা অভ্যুত্থান-বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সরকারি দপ্তরগুলোতে চলা ধর্মঘট উৎসাহিত করায় বুধবার রাতে ছয় জনপ্রিয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সামরিক জান্তা। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই ছয় জনের মধ্যে দেশটির জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পীও আছেন। ধর্মঘট উৎসাহিত করার অভিযোগে তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের মূল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী জড়ো হয়েছে। ধর্মঘটে দেশটির বহু সরকারি দপ্তর অচল হয়ে পড়েছে।

দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালেতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আন্দোলনকারীর মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করছেন।

ধর্মঘট পালনকারী সরকারি কর্মচারীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে জান্তা। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবুও ধর্মঘট শিথিল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আরও পড়ুন:

নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

মিয়ানমারে অভ্যুত্থান: বিক্ষোভকারীদের ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের হুঁশিয়ারি

১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সু চিকে জিজ্ঞাসাবাদ

মিয়ানমারে বিক্ষোভ ঠেকাতে সাঁজোয়া যান