‘ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলছে, টেস্টে সমস্যা কোথায়?’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে ভরাডুবির পর দলের সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাঁচ সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে জরুরি সভা করেছেন তিনি। সেখানে লম্বা সময় ধরে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে সংকট থেকে উত্তরণে করণীয় নিয়ে। কোচিং স্টাফদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন বোর্ড সভাপতি। তার আগে লাল বলের ক্রিকেটে দৈন্যদশা নিয়ে খেলোয়াড়দের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিতে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টিকা গ্রহণ প্রক্রিয়া দেখতে উপস্থিত ছিলেন নাজমুলও। পরে গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলের যে খেলা দেখেছি আফগানিস্তানের সঙ্গে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে, এই খেলা বাংলাদেশ দলের খেলা মনে হয় না। কারণ, এরাই যখন ওয়ানডে খেলছে, টি-টোয়েন্টি খেলছে, তখন পুরোপুরি আলাদা। তখন তারা ভালো খেলছে। তাহলে টেস্টে সমস্যা কোথায়? ওদের সঙ্গে বসার পেছনে কারণ ছিল, প্রত্যেকের কাছ থেকে শুনতে চাচ্ছি, সমস্যাটা কোথায় বলে মনে করে।’
বোর্ড প্রধানের সঙ্গে আগের দিনের জরুরি সভায় ছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান, গেম ডেভলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার। পরে ডেকে নেওয়া হয় ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে।
আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে উল্লেখ করে নাজমুল জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তর বের করে সমাধানের পথে হাঁটতে চাইছেন তারা, ‘একটা জিনিস আমি আপনাদের বলতে পারি, সমস্যা কোথায়, এটা যে কেউ বুঝি না বা জানি না, তা নয়। কিন্তু যে পদ্ধতি দিয়ে যাচ্ছি এখন, এটাই আমার মনে হয়, সঠিক পদ্ধতি। এটা করবা না, ওটা করবা না বলার চেয়ে এইভাবে ওদেরকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এনে যেটা করা হচ্ছে, এটা হচ্ছে আরও ভালো। আগে তাই করতাম, সোজা বলে দিতাম, “এটা করো, ওটা করো।” এখন এটা করি না।’
‘তবে আমি খুশি যে ওরা যেটা বলছে এবং আমাদের ধারণা যেটা ছিল যে সমস্যা কোথায়, বেশিরভাগই মিলে যাচ্ছে। ৯০ শতাংশই মিলে যাচ্ছে। আজকে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে সভা আছে। ওদেরকেও জিজ্ঞেস করব সমস্যা কোথায়। এরপর আমরা ওদেরকে বলব সামনের দিনগুলোয় কী করতে হবে।’
২০১৯ বিশ্বকাপ, ওই বছরের ভারত সফর এবং উইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজেও বোর্ড প্রধানকে আগে জানানোর পর মাঠে বদল হয়েছে সিদ্ধান্ত। কেমন এমন হচ্ছে এবং কীভাবে এই যোগাযোগের ঘাটতি দূর করা যায় তারও উপায় খুঁজছেন বিসিবি সভাপতি, ‘মাঠে কে নামবে, কে কত নম্বরে খেলবে, এগুলো তো আগে জানতাম। এখন তো জানি না। নামার পরে দেখছি। কয়েকবার টিভিতে বলেছি, আমি জানি না। আমাকে যেটা বলা হয়, সেটা হয় নাই। এত কথা বলার দরকার নেই। আপনারা কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাচ্ছেন। আমি তো দোষী সাব্যস্ত করতে আসিনি। সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি। বলছি যখন, এটাই যথেষ্ট।’
Comments