এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত সিনেমা

খ্যাতিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান একাধারে একজন কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ছিলেন। তবে, সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন অভিনেতা হিসেবে।
atm shamsuzzaman
স্বনামধন্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

খ্যাতিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান একাধারে একজন কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ছিলেন। তবে, সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন অভিনেতা হিসেবে।

১৯৬৫ সালে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ন্যায়ী জিন্দেগী’। সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। ১৯৭৪ সালে তিনি আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমনি’ সিনেমায় খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন।

নব্বইয়ের দশকে এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ভন্ড (১৯৯৮), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), অজান্তে (১৯৯৬), ঘৃণা (১৯৯৪), ত্যাগ (১৯৯৩), চাকর (১৯৯২), ন্যায় যুদ্ধ (১৯৯১), চাঁপা ডাঙ্গার বউ (১৯৮৬), পরিণীতা (১৯৮৬), আশার আলো (১৯৮২), মহানগর (১৯৮১), ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০), মাটির ঘর (১৯৭৯), সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), অশিক্ষিত (১৯৭৮), যাদুর বাঁশি (১৯৭৭), অনন্ত প্রেম (১৯৭৭), নয়ন মনি (১৯৭৬), লাঠিয়াল (১৯৭৫), চোখের জলে (১৯৭৪), সংগ্রাম (১৯৭৪), ভুল যখন ভাঙ্গলো (১৯৭৪), স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা (১৯৭৩), শ্লোগান (১৯৭৩), অবুঝ মন (১৯৭২), ওরা ১১ জন (১৯৭২), বড় বউ (১৯৭০), মলুয়া (১৯৬৯), সুয়োরাণী দুয়োরাণী (১৯৬৮),

শূন্য দশকের পরে অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে— আলফা (২০১৯), পাংকু জামাই (২০১৮), এক পৃথিবী প্রেম (২০১৬), আইসক্রিম (২০১৬), দ্য স্টোরি অব সামারা (২০১৫), দুই বেয়াইয়ের কীর্তি (২০১৫), দুটি মনের পাগলামী (২০১৪), পাগল তোর জন্য রে (২০১৩), আত্মগোপন (২০১২), চোরাবালি (২০১২), লাল টিপ (২০১২), জিদ্দি বউ (২০১২), মায়ের জন্য পাগল (২০১১), গেরিলা (২০১১), পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০), যেমন জামাই তেমন বউ (২০১০), আমার স্বপ্ন (২০১০), চেহারা (২০১০), ওপারে আকাশ (২০০৯), রিটার্ণ টিকিট (২০০৯), চাঁদের মত বউ (২০০৯), আদরের ছোট ভাই (২০০৯), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), পৃথিবী টাকার গোলাম (২০০৯), এবাদত (২০০৯), আক্কেল আলীর নির্বাচন (২০০৮), দুঃখিনী জোহরা (২০০৭), বাংলার বউ (২০০৭), ডাক্তার বাড়ী (২০০৭), গ্রাম গঞ্জের পিরিতি (২০০৭), জন্ম (২০০৬), সাথী তুমি কার (২০০৬), দাদীমা (২০০৬), আয়না (২০০৬), ভালবাসা ভালবাসা (২০০৬), আমার স্বপ্ন তুমি (২০০৫), টক ঝাল মিষ্টি (২০০৫), মোল্লা বাড়ীর বউ (২০০৫), হাজার বছর ধরে (২০০৫), শাস্তি (২০০৪), আধিয়ার (২০০৩), ওদের ধর (২০০২), শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ (২০০১)।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এ টি এম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এ টি এম শামসুজ্জামান।

৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা। সর্বমোট পাঁচবার তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া, শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আজ শনিবার সকালে মারা যান কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

আরও পড়ুন:

চলে গেলেন এ টি এম শামসুজ্জামান

Comments

The Daily Star  | English
interim government struggles with decision-making

Interim govt struggling on many fronts

The government on around a dozen occasions has backtracked on its decisions during its two months in office, casting doubts about its resolve.

12h ago