বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
অমর একুশে ফ্রেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বরেণ্য গুণীজনদের দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মাননা একুশে পদ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ২১ গুণীজনের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পদক তুলে দেন।
 
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
 
জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব অর্জন।’
 
এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিন জন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিন জন, শিল্পকলায় সাত জন, ভাষা ও সাহিত্যে তিন জন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক দেওয়া হয়।
 
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন— মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ। শিল্পকলায় পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় ও আলোকচিত্রে পাভেল রহমান।
 
মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন।
 
সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক পেয়েছেন।
 
বিজয়ীরা নিজ নিজ পদক প্রহণ করেন এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রয়াত নেতা শামসুল হকের পক্ষে তার ছেলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলার (মরণোত্তর) পক্ষে তার ছেলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পুরস্কার গ্রহণ করেন। অন্যদিকে গোলাম মুরশিদের পুরস্কার গ্রহণ করেন তার এক ছাত্র।
 
পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং নগদ অর্থের চেক প্রদান করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

42m ago