বড় সন্তানের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত এ টি এম শামসুজ্জামান

atm_shamsuzzaman_4.jpg-1.jpg
এ টি এম শামসুজ্জামান। স্টার ফাইল ফটো

বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় সন্তানের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজার পর সূত্রাপুরে কমিউনিটি সেন্টারে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ রাখা হয়। এরপর সূত্রাপুর জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এ টি এম শামসুজ্জামানের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এফডিসি বা শহীদ মিনার কোথাও তার মরদেহ নেওয়া হয়নি।

এ টি এম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এ টি এম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এ টি এম শামসুজ্জামান।

৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা। সর্বমোট পাঁচবার তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া, শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আজ ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago