মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কমপক্ষে ১০

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ছিলারচরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাঈদ ভুঁইয়া (৩৮) সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের মৃধারকান্দি এলাকার মৃত নূর সোবাহান ভুঁইয়ার ছেলে।

এ প্রসঙ্গে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো আমরা কাউকে আটক করতে পারিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছিলারচর এলাকার ফেরদৌস তালুকদার ও রহমান মৃধার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফেরদৌস তালুকদারের সমর্থক জুলহাস তালুকদার বাজার থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে ভ্যান থেকে নামিয়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার সকালে উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ টি বসতঘরে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। সংঘর্ষ আহত হয় অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে সাঈদ ভুঁইয়াকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মির্জন মৃধা বলেন, ‘দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎ কয়েকজন এসে সাঈদ ভুঁইয়াকে একা পেয়ে এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে। এ সময় সাঈদকে বাঁচাতে আরও কয়েকজন ছুটে আসে। পরে হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের মারপিট হয়। এক পর্যায় সাঈদকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

নিহত সাঈদ ভুঁইয়ার স্ত্রী মাহামুদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর কোনো দোষ ছিল না। এলাকার দু’পক্ষের কোন্দলে আমার স্বামীকে মরতে হলো।’

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে রহমান মৃধা বলেন, ‘আমার কোনো ভাই বা আমার লোকজন কারো ওপর হামলা করেনি। বরং ফেরদৌস তালুকদারের লোকজন সকালে আমাদের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা করেছে। ভাঙচুর করেছে। হত্যার বিষয় আমার লোকজন জড়িত নয়।’

এ বিষয়ে জানতে ফেরদৌস তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

30m ago