রফিকের নৈপুণ্যে সুজনদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পাইলটরা
ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরস্কার হাতে নিয়ে মোহাম্মদ রফিকের স্বভাবসুলভ সাদামাটা জবাব, ‘আসলে রহস্যের তো কিছু নেই। তারা কীভাবে খেলেন আমি জানি, আমি কীভাবে খেলি তারা জানেন।… আর আমি যেখানেই খেলি না কেন এভাবেই খেলার চেষ্টা করি।’
সাগরপাড়ে ঝাউবনে ঘেরা ২২ গজে মিলনমেলা ভেঙেছে। কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে পর্দা নেমেছে ছয় দল নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। সবশেষ তিনটি দিন যে স্থানটি মুখরিত হয়ে উঠেছিল দেশের সাবেক তারকা ও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের কলরবে।
নতুন আঙ্গিকের ১০ ওভার ও ১০ বলের এই আসরের শিরোপা জিতেছে খালেদ মাসুদ পাইলটের একমি স্ট্রাইকার্স। শনিবার ফাইনালে তারা হারিয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের এক্সপো রেইডার্স।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১০৪ রান তোলে একমি। লক্ষ্য তাড়ায় এক্সপো পুরো ওভার খেলে মাত্র ৭৪ রান তুলতে হারায় ৮ উইকেট। ৩০ রানের বড় জয়ের মূল কারিগর বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার রফিক। ৩ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট দখল করেন তিনি।
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানো রফিকের হাতে। সবমিলিয়ে বল হাতে ৮ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৭৫ রান করেন তিনি।
২৪৫ রান করে আসরের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন জেমকন টাইটান্সের জাভেদ ওমর বেলিম। একই দলের আশিক মজুমদার ৮ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সেরা বোলার। বোল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জা’দুবে স্টার্স। প্লেট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্সের।
প্রতিযোগিতামূলক কোনো আসর নয়। অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের কথায় ঘুরেফিরে আসছিল বহুদিন পর একত্রিত হয়ে আড্ডায় মেতে ওঠা ও স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসার মতো বিষয়গুলো। তাই বলে লড়াইয়ের মনোভাব যে একদমই ছিল না, তা-ও নয়। ক্রিকেটীয় সত্ত্বার লালন বলে কথা!
Comments