কোম্পানীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মুজাক্কির মারা গেছেন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫) মারা গেছেন।
আজ শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের আইসিইউতে রাত পৌনে ১১টার দিকে বোরহান উদ্দিনের মৃত্যু হয়।’
এর আগে, গতকাল বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গতকাল রাত ৮টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা গেছে, নিহত বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বার্তা বাজার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সমর্থকদের চাপরাশিরহাট দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু তার আগে চরফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ওই কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। নির্ধারিত সময়ে বাদলের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে আসলে লিটনের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন বার্তা বাজারের প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
ওই সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা জানান, হামলায় তার অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তার কোনো নেতা-কর্মী মারা গেলে তার দায়-দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নিজাম হাজারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
Comments