নারায়ণগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা, পুরো গ্রাম পুরুষ শূন্য
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজনের নিহত ও ২০ জনের আহতের ঘটনায় উভয়পক্ষ পৃথক মামলা দায়ের করেছে। তবে, এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। একইসঙ্গে, ওই সংঘর্ষের পর থেকে পুরো গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য।
সংঘর্ষে নিহত সমর আলীর ভাই আব্দুল আলী আজ রোববার দুপুরে বাদী হয়ে একটি ও প্রতিপক্ষ সাদেকুর রহমানের পক্ষে তার স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় আরেকটি মামলা করেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে নিহত ও আহতের ঘটনায় উভয়পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে। নিহত সমর আলীর ভাই আব্দুল আলী বাদী হয়ে ১৭জনের নাম উল্লেখ ও ১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। অপর দিকে সাদেকুর রহমানের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ ও ১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উভয় মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে, এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।’
এলাকাবাসী জানান, শনিবার দুপুর থেকেই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। সংঘর্ষের পর থেকেই গ্রামের সকল পুরুষ পালিয়ে গেছে। এতে পুরো এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রামের দোকানগুলোও বন্ধ আছে। এখানে এক ধরনের থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেক মোল্লার আধিপত্য বিস্তার ও একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে সাদেক মোল্লার গ্রুপের লিটনসহ কয়েকজন আলাউদ্দিনের বালুর ট্রাক আটকায়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাদেকুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলাউদ্দিনের পক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং অন্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে মারা যান সমর আলী।
Comments