বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা

“আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক-বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষা চালু হোক” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষ বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে জড়ো হয়। অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানায়। ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ মিনার।
ছবি: সংগৃহীত

“আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক-বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষা চালু হোক” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষ বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে জড়ো হয়। অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানায়। ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ মিনার।

বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় পতাকা, নানা রঙের এর ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, আর ফুল দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা।

রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়  প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।

ভারতের পক্ষে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, সাবেক সংসদ সদস্য শ্রীমত্য মমতা ঠাকুর, বিধায়ক সুরজিত বিশ্বাস, বিধায়ক পুলিন বিহারী রায়, পুলিশ সুপার তরুণ হালদার ও বনগাঁ পৌর মেয়র শংকর আঢ্য ‌এবং বাংলাদেশের পক্ষে কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান, ২১ উদযাপন কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু ও সচিব শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল উপস্থিত ছিলেন।

ভারত থেকে আসা শতশত বাংলাভাষী মানুষ বাংলাদেশিদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেয় একে অপরকে। নোমান্সল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে প্রথম ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দুই দেশের জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তারা।

তবে এবার বাংলাদেশ অংশে কোন অনুষ্ঠান হয়নি। বাংলাদেশে থেকে ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন নোমান্সল্যান্ডে ভারতের একুশের অনুষ্ঠানে। পরে নোমান্সল্যান্ড  এলাকায় বেলি ফুলের চারা রোপন করেন দুদেশের  অতিথিরা ।

বেনাপোল পেট্রাপোল চেকপোস্টে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে দুই সীমান্তে। সীমান্ত টপকে যাতে কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ বাঁশের বেষ্টনি দিয়ে রাখে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago