৭ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজের চিন্তাভাবনা চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Health minister
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এপ্রিল মাসে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিষয়টি চলে আসবে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের তখন দুই মাস বা আট সপ্তাহ হবে। আট সপ্তাহে ইমিউনিটি ভালো হয়। এটা ডব্লিউএইচও’র গাইডলাইন।’

‘এই গাইডলাইন অনুসরণ করে এপ্রিলের ৭ তারিখ থেকে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা এখন থেকে করছি। পাশাপাশি, প্রথম ডোজ যারা নিবেন তাদের বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছি।’

‘সব পরিকল্পনা নির্ভর করবে আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার ওপর।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুন্দরভাবে চলমান আছে। প্রায় এক হাজার ১০টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। সেখানে বুথ রয়েছে তিন হাজারের কাছাকাছি। ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এই সন্তুষ্টি যাতে বজায় থাকে সেই চেষ্টা আমাদের আছে।’

‘ইতোমধ্যে আমরা ২৩ লাখ ৮০ হাজার ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। তাদের মধ্যে ১৫ লাখ পুরুষ। বাকিরা নারী। নারীরা একটু পিছিয়ে আছেন। আমরা আশা করব, নারীরাও এগিয়ে আসুক। সমানে সমান থাকুক।’

‘ভ্যাকসিন নিবন্ধন হয়েছে ৩৬ লাখের বেশি। ভ্যাকসিন দেওয়ার হারও ভালো। আড়াই লাখের কাছাকাছি। কখনো বেশি, কখনো কম হয়।’

‘আমাদের সিদ্ধান্ত আছে যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়স কনসিডার করব। দেশে ৪০ বছরের জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় চার কোটি। আমাদের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা আছে। ভারতের সেরামের সঙ্গে আমরা চুক্তিবদ্ধ। ভারতের উপহার হিসেবে আরও ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি।’

‘তিন কোটি ডোজ দিয়ে আমরা দেড় কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারব। আমরা যদি চার কোটি মানুষকে টীকা দিতে চাই তাহলে আট কোটি ডোজ লাগবে। গতকাল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা এখন থেকে পরিকল্পনা করছি, কিভাবে আগামী দিনগুলোতে (ভ্যাকসিন দেওয়ার) এই ধারাটা অব্যাহত রাখা যায়।’

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

7h ago