শীর্ষ খবর
প্রবাস

টরেন্টো শহীদ মিনার নির্মাণ কমিটি থেকে একজনকে অব্যাহতি

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠায় কানাডার টরেন্টোতে শহীদ মিনার নির্মাণ কমিটি থেকে একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠায় কানাডার টরেন্টোতে শহীদ মিনার নির্মাণ কমিটি থেকে একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কানাডার লুটেরা বিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, শহীদ মিনার নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনো অভিযুক্ত-বিতর্কিত ব্যক্তিকে রাখার সুযোগ নেই। শহীদের আত্মদান স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারকে আমরা কোনোভাবেই কলঙ্কিত হতে দিতে পারি না।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে লুটেরা বিরোধী মঞ্চ, কানাডার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন একই দাবিতে সামাজিক আন্দোলন শুরু করে। তখন থেকেই শহীদ মিনার নির্মাণ কমিটিতে থাকা দুজন চিহ্নিত অভিযুক্তকে বহিষ্কারের দাবি উঠে।

এর ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি টরেন্টোর শহীদ মিনার নির্মাণ কমিটি আইএমএলডি (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) থেকে গাজী বেলায়েত হোসেন মিঠুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

টরেন্টোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, টরেন্টোতে শহীদ মিনার নির্মাণের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এর সঙ্গে অনেকের নাম জড়িয়ে আছে। যারা এক সময় শহীদের চেতনায় ইট-কাঠ-কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন। সেসব ব্যক্তিদের অনেকের নামই এই কমিটিতে নেই।

তারা আরও বলেন, মঞ্চ’র সঙ্গে আইএমএলডি’র সংলাপে তারা অভিযুক্ত দুজনকেই কমিটি থেকে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পরে তারা একজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এতে আমাদের দাবির খণ্ডিত পূরণ হয়েছে। আমরা  আশা করেছিলাম, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আইএমএলডি কমিউনিটির দাবি পূরণ করবেন। সেটা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আরও দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা অন্যজনকে বহিষ্কার করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ দাবির সঙ্গে টরেন্টো আওয়ামী লীগ, বিএনপি, পিডিআই, বাচনিক, অন্যস্বর, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, উদীচী, টরেন্টো বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক অ্যাসোসিয়েশন, কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়েশন সংহতি প্রকাশ করে।

মাহবুব চৌধুরী রনি, ফারজানা চৌধুরী বিন্দু ও এরিন কবীরের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন লুটেরা বিরোধী মঞ্চের নজরুল মিন্টু, আহমেদ হোসেন, ড. মঞ্জুরে খোদা, সুমন সাইয়ীদ, নওশের আলী, সৈকত রুশদী, মোহাম্মাদ বাশার, রেজা অনিরুদ্ধ, রাজিবুর রহমান, ইমরুল ইসলাম, আসাদ নিশু, রুহুল চৌধুরী, জাকারিয়া চৌধুরী, রোকেয়া পারভীন, হাসমত আরা চৌধুরী জুঁই, ড. সুরভি সাঈদ, রিফাত নওরীন, নাজমা কাজী, শেখ নাহার, রেজা সাত্তার, লিটলী রায়। সংগঠক ব্যারিস্টার আলমগীর হোসাইন, আব্দুল হালিম মিয়া, মাসুক মিয়া, আজফর সাঈদ ফেরদৌস, ইমরুল ইসলাম, মাসুদ আলী লিটন, সাদ চৌধুরী, আরিফ আহমেদ, ইলিয়াছ খান, ফাইজুল চৌধুরী, শানদে, গোলাম মোস্তফা, মিজবাউল কাদের ফাহিম।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন সংগীত শিল্পী নাহিদ কবীর কাকলী, নৃত্যশিল্পী অরুণা হায়দার, ফারহানা শান্তা, মামুনুর রশীদ, মৈয়ত্রী দেবী, আসিফ, আবৃত্তিতে ছিলেন, শ্যামল মাহমুদ, রুবিনা চৌধুরী, শিউলি জাহান, হোসনে আরা জেমি, মুনীরা সুলতানা মিলি, তৃষ্ণা শিখা এবং নৃত্য পরিবেশন করেন রায়না রাকিব ও রিদা রহমান।

Comments

The Daily Star  | English

Freedom declines, prosperity rises in Bangladesh

Bangladesh’s ranking of 141 out of 164 on the Freedom Index places it within the "mostly unfree" category

1h ago