পঞ্চগড়ে আদালত চত্বরে বাদীপক্ষকে মারধর, আটক ১
মামলায় জামিন না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে বাদীপক্ষের লোকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী ও বিবাদী পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট-বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাড়ির গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় মকছেদুর রহমান (৩৩) তার প্রতিবেশী আজিরতসহ (৫০) আট জনের নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আজ সেই মামলার আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত দুই আসামির জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। অপর ছয় জনকে জামিন দেন। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত চত্বরে থাকা বাদীপক্ষের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করেন আসামিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনায় মামলার বাদী মকছেদুর রহমান, তার স্ত্রী আজিমা খাতুন (২৮), বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু মারিয়া শেখ (৫), শাশুড়ি সকিনা বেগম (৫০) ও স্ত্রীর খালা আরজিনা বেগম (৪৫) আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে মকছেদুর রহমানের দায়ের করা মামলায় বিবাদী পক্ষের দুজনের জামিন নামঞ্জুর করেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত চত্বরেই বাদীপক্ষের নারী ও শিশুসহ পাঁচ জনকে মারধর করেন বিবাদী পক্ষের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী সতি বেগম, তার বোন রুবিনা খাতুনসহ আরও কয়েকজন।
আদালত চত্বরে থাকা লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পুলিশ রুবিনা খাতুনকে (৩৩) আটক করতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যান।
মারধরের ঘটনায় পঞ্চগড় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান।
বাদী মকছেদুর রহমানের স্ত্রী আজিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে মামলার শুনানি হবে শুনে আমরাও আদালতে উপস্থিত হয়েছিলাম। পরে তাদের দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করার পর যখন আমরা আদালত ভবন থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আনোয়ার, তার স্ত্রী সতি বেগম ও বোন রুবিনাসহ কয়েকজন আদালত চত্বরেই আমাদের বেধড়ক মারতে থাকে। আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটাকেও তারা ছাড়েনি।’
পঞ্চগড় আদালতের পরিদর্শক মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। হামলাকারী এক নারীকে আটক করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এখন তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় রুবিনা আক্তার নামে এক নারী আটক রয়েছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
Comments