সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যা
আত্মসমর্পণের পর প্রধান আসামি কারাগারে
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি নোমান হাছনুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি নোমান হাছনুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সহযোগিতায় সকালে হাছনুর আত্মসমর্পন করেন। তার বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকার পশ্চিমপাঁড়া গ্রামে। হাছনুরের বাবার নাম আব্দুল হান্নান।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এখন তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করছি। আশা করছি, আজই শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করবেন। রিমান্ডে নিলে সে দিনের ঘটনায় তার সহযোগিদের পরিচয় জানা যাবে।’
গত শনিবার পরিবহন শ্রমিকদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘণ্টাখানেক পরে তার মৃত্যু হয়।
মওদুদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংকের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার কর্মকর্তা ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরে। শনিবার বিকেলে হরিপুর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তিনি বন্দরবাজার এলাকায় যান। রাত পৌনে ৮টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় পৌঁছালে ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা তাকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেন।
প্রথমে বিষয়টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যু বলে প্রচার করা হলেও পরে পুলিশ মারধরের বিষয়টি জানতে পারে। রোববার মওদুদ আহমেদের ভাই আব্দুল ওয়াদুদ কোতোয়ালী থানায় নোমান হাছনুরের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:
Comments