আইসিসিকে 'কঠিন' এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন আফ্রিদি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনজীবনে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তেমনি এসেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ক্রিকেটেও আছে অনেক। তার একটি বল করতে আসা বোলারদের ক্যাপ এখন আর নিজ হাতে নেন না আম্পায়াররা। কিন্তু কেন নেন না ব্যাপারটা কোনোভাবেই মাথায় ঢুকছে না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির। তাই সামাজিক মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বরাবর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন এ পাকিস্তানি।
বল করতে আসলে বোলারদের টুপি হতে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুই সাধারণত বহন করেন আম্পায়াররা। ক্রিকেটে এটা শুরু থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। গত গ্রীষ্মে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমার পর লম্বা বিরতি শেষে মাঠের ক্রিকেট ফের শুরু হওয়ার পর আইসিসির গাইডলাইনে অনুযায়ী, খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের থাকতে হয় জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে।
মূলত ভাইরাসের সংক্রামণ রুখতেই এমন নিয়ম করে আইসিসি। তার মধ্যে খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানাও বাধ্যতামূলক করে আইসিসি। ক্রিকেটারদের টুপি, সানগ্লাস, সোয়েটার ও তোয়ালে রাখাও নিষিদ্ধ করা হয়। আর তখন থেকেই এ নিয়ম মেনে আসছে ক্রিকেটাররা। অথচ আম্পায়ার ও খেলোয়াড় সবাই থাকেন একই জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে। এমনকি এই আম্পায়ারদের হাত থেকে বল নিয়ে ওভার শুরু করেন বোলার। আবার ওভার শেষে ফিরিয়ে দেন সেই আম্পায়ারের হাতেই। আর এ অদ্ভুত নিয়মটাই মাথায় ঢোকেনি আফ্রিদির।
সামাজিক মাধ্যমে টুইটারে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন আফ্রিদি। আইসিসি বরাবর প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, 'প্রিয় আইসিসি ভাবছি যে খেলোয়াড়/ম্যানেজমেন্ট একই বুদবুদে থাকা ষত্বেও এবং এমনকি খেলা শেষে হাত মেলানোর পরও কেন বোলারদের ক্যাপ আম্পায়ারদের ধরার অনুমতি নেই?'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও ঘরোয়ায় অঙ্গনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন আফ্রিদি। বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলছেন মুলতান সুলতানের হয়ে। আর চলতি আসরে শুরুটা ভালো হয়নি আফ্রিদির দলের। দুটি ম্যাচেই হেরে গেছে তারা। তবে প্রথম ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন আফ্রিদি। ২৪ রানের খরচায় তুলে নিয়েছেন ২টি উইকেট।
Comments