খাশোগি হত্যাকাণ্ড: মার্কিন তদন্তে যুবরাজ সালমানের নাম আসতে পারে
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্তের সঙ্গে জড়িত চার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে সৌদি যুবরাজই খাশোগিকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওই প্রতিবেদন দেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে শিগগির যুবরাজ সালমানের বাবা সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে তিনি কথা বলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন চার বছরে সৌদি যুবরাজ সালমান যে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়া মাত্রই সেই তুলনায় তিনি চাপে পড়েছেন।
গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি সাংবাদিকদের জানান, খাশোগি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশিত হবে এবং বাইডেন এ বিষয়ে কেবল সৌদির বাদশাহ’র সঙ্গেই কথা বলবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘নতুন প্রশাসনের প্রথম সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি খাশোগি হত্যা ও ইয়েমেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন করে পর্যালোচনা করার কথাও জানান।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে যাওয়ার পরই নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। সৌদি রাজবংশের ক্ষমতাধরদের কড়া সমালোচনার জন্য আলোচিত ছিলেন সুপরিচিত এই সাংবাদিক।
তুর্কি কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
Comments