বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের কারণে কোপায় খেলা হলো না ভারতের?

ভারত যদি অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তে সুযোগ পেত তাহলে তারা খেলত ‘এ’ গ্রুপে। ওই গ্রুপের বাকি দলগুলো হলো আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, উরুগুয়ে, চিলি ও প্যারাগুয়ে।
india football
ছবি: টুইটার

আগামী জুন-জুলাইতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোপা আমেরিকাতে ছোটাছুটি করতে দেখা যেতে পারত সুনীল ছেত্রিকে। তা-ও আবার লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে! কিন্তু সূচি জটিলতায় তা হচ্ছে না। আর এই না হওয়ার দায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ঘাড়ে চাপিয়েছেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কুশল দাস!

দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ ফুটবল আসরে এবার যৌথ আয়োজক আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। আগামী ১১ জুন প্রতিযোগিতাটি শুরু হবে, শেষ হবে ১০ জুলাই। একই সময়ে চলবে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। ফলে অস্ট্রেলিয়া ও কাতার সরে দাঁড়িয়েছে আসরটি থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে বাছাইয়ের সূচি পিছিয়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্যই হয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) এই দুটি সদস্য দেশ।

বুধবার ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কুশল বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ভারতের সুযোগ তৈরি হয়েছিল কোপাতে খেলার, ‘এশিয়ার দুটো দল, কাতার ও অস্ট্রেলিয়া কোপা আমেরিকায় আমন্ত্রণ পেয়েছিল। কিন্তু পুরনো বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলা সম্ভব হচ্ছে না। সরে দাঁড়ানোর পর তারা কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা) ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছিল। কনমেবলও ভারতকে পাওয়ার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত ছিল। তারা আমাদেরকে খেলাতে খুবই আগ্রহী ছিল।’

কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার মিলছে না। ভারত কোপা আমেরিকাতে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। কারণ, বাছাইপর্বের স্থগিত থাকা ম্যাচগুলো আরও আগেই মার্চ-এপ্রিল থেকে জুনে পিছিয়ে দিয়েছে এএফসি। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অসম্মতির কারণে এমনটা ঘটেছে দাবি কুশলের, ‘সূচি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কোপা আমেরিকা শুরু হবে জুনে এবং আমরা দেখার চেষ্টা করছিলাম যে, বাছাইপর্ব আগে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিলে আয়োজন করা যায় কিনা। কিন্তু সেটা সফল হয়নি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মতো দলের কারণে।’

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপে রয়েছে ভারত। একই গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানও। আগামী ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার রয়েছে গ্রুপের শীর্ষে। গ্রুপের বাকি দল ওমান।

কুশল যোগ করেছেন, কোপার পরের আসরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে আয়োজকদের কাছ থেকে আমন্ত্রণ প্রত্যাশা করছেন তারা, ‘যদি বাছাইপর্ব মার্চ-এপ্রিলে হয়ে যেত, তাহলে এটা (কোপায় অংশ নেওয়া) আমাদের জন্য দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হতে পারত। এটা খুবই কঠিন একটা প্রতিযোগিতা। কিন্তু একটি তরুণ দলের জন্য এটাই দরকার। আমি আশাবাদী, যেহেতু আয়োজকরা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, তারা ভারতের ব্যাপারে আগ্রহী, আমরা আগামীতে সেখানে অংশ নিতে পারব।’

ভারত যদি অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তে সুযোগ পেত তাহলে তারা খেলত ‘এ’ গ্রুপে। ওই গ্রুপের বাকি দলগুলো হলো আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, উরুগুয়ে, চিলি ও প্যারাগুয়ে। প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও পেরুর সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে ছিল কাতার।

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০টি দলের সঙ্গে অতিথি হিসেবে কোপা আমেরিকাতে খেলার কথা ছিল কাতার ও অস্ট্রেলিয়ার। তারা না খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরও কনমেবল ১২টি দল নিয়েই আসরটি আয়োজনের প্রত্যাশা করছে। তবে নতুন অতিথি দল খুঁজে না পেলে ১০ দল নিয়েই মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতার ৪৭তম আসর।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago