পটুয়াখালী

সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ইট অপসারণ করে চুক্তি অনুযায়ী ইট ব্যবহার করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চিঠি দিলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
সড়কে ব্যবহারের জন্য স্তুপ করে রাখা নিম্নমানের ইট। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ইট অপসারণ করে চুক্তি অনুযায়ী ইট ব্যবহার করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চিঠি দিলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ৫১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওই সড়ক থেকে নিম্নমানের ইট অপসারণের জন্য এক সপ্তাহ আগে চিঠি দিলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এর প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার পুনরায় চিঠি দিয়েছে এলজিইডি।

এলজিইডি রাঙ্গাবালী উপজেলা অফিস থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মাদারবুনিয়া খাল থেকে সাত্তার গাজীর বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এর কাজ পান পটুয়াখালীর মেসার্স পাল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি করছেন বশির উদ্দিন সিকদার নামে অপর এক ঠিকাদার।

স্থানীয়রা জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই সড়ক নির্মাণের জন্য যে ইট আনা হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের।

ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের এসব ইট ভেঙে খোয়া তৈরি করে সড়কে বিছানো শুরু করলে এলজিইডির উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম তদারকি করতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষনিক এসব ইট ও খোয়া অপসারণের জন্য মৌখিক নির্দেশ দেন।

শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই সড়ক থেকে নিম্নমানের ইট অপসারণের জন্য তিনি ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছেন। এরপরও এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। যা চুক্তি পরিপন্থী।

আজ তিনি আবারও এসব ইট অপসারণের জন্য চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার বশির উদ্দিন বলেন, ‘এক নম্বর ইট ভেঙে বিছানো হচ্ছিল। তবে যেহেতু ইটগুলো নিম্নমানের বলে দাবি করা হচ্ছে, এগুলো সরিয়ে এক নম্বর ইটের খোয়া দিয়েই সড়ক নির্মাণ করা হবে। এজন্য এখন সড়কের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির বলেন, ‘নিম্নমানের এই ইট যখন আনা হচ্ছিল তখনই সেগুলো সড়কে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন সেই নিষেধ শোনেনি। আমাদের চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago