জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ
একজন নীতিবান ও আদর্শিক মানুষ ছিলেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। সব লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে তিনি জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তার স্মরণে শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জীবনী, প্রবন্ধ, গবেষণা, ভ্রমণকাহিনী, কবিতা—সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই- যেখানে তার স্বাচ্ছন্দ্য পদচারণ ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ব্যতিক্রম প্রতিবাদ জানান।
তারা আরও বলেন, সেলাই ছাড়া সাদা কাপড় পরতেন তিনি। মৃত্যুর আগ-পর্যন্ত তিনি এই পোশাক পরেছেন।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ, নিরাপদ সড়ক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিংবা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ন্যায্য দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনি। কখনো কখনো একাই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এলাচীপুর গ্রামে ছিল সৈয়দ আবুল মকসুদের পৈত্রিক ভিটা। পরবর্তীতে যমুনার ভাঙনে হরিরামপুরের কৌড়ি হুগলাকান্দি গ্রামে পৈত্রিক ভিটা গড়ে ওঠে। এই গ্রামেই জাদুঘর ও একটি পাঠাগার গড়ার স্বপ্ন ছিল তার। গ্রামের ৬০ শতক জমিতে তা নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছিলেন। জমি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। তবে, জাদুঘর ও পাঠাগার গড়ে ওঠের আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন।
শোকসভায় তার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানানো হয়।
শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান বিশ্বাস, সাংবাদিক কাবুল উদ্দিন খান এবং সাংবাদিক আব্দুল মোমিন।
Comments