৪৮ ঘণ্টা পর মুক্ত বাতাসে তামিম-তাসকিনরা

ছবি: বিসিবি

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে দুই দিন আগেই গিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু যাওয়ার পর থেকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে টাইগারদের। আর তার শুরুতে আবদ্ধ থাকতে হচ্ছিল কেবল রুমের মধ্যেই। তবে অবশেষে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তারা। ৪৮ ঘণ্টা পর মুক্ত বাতাসে বের হয়েছেন টাইগাররা।

গত বুধবার ক্রাইস্টচার্চে পা রাখে বাংলাদেশ। সেখান থেকে সরাসরি চলে যান টিম হোটেলে। পোঁছেই নিজ ঘরে বন্দি থেকেছেন ক্রিকেটাররা। কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হবে দুই সপ্তাহ। তবে এরমধ্যেই হয়ে গেছে তাদের কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা। সেখানে সবাই নেগেটিভ আসায় রুম থেকে বাইরে জাওয়ার অনুমতি মিলে তাদের।

এর আগে দেশের মধ্যে নিজেরা আলাদা জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাকলেও এতো কঠিনভাবে রুমে আবদ্ধ থাকতে হয়নি টাইগারদের। এমন পরিবেশটা একেবারেই নতুন তাদের জন্য। তাই দুই দিন পর মুক্ত হওয়ার অনুভূতিটা ভিন্ন রকম বলেই জানালেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ।

তবে বের হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন টাইগাররা। তাসকিনের ভাষায়, 'আসলে এ রকম আইসোলেশন একটা আলাদা অভিজ্ঞতা। আর এগে কখনও এভাবে সময় কাটানো হয়নি। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা ৩০-৪০ মিনিটের জন্য ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটার সুযোগ পেয়েছি, এখন আবার রুমে চলে এসেছি। টানা দুই দিন একদম রুমে বন্দি থাকার পর এখন ভালো লাগছে।'

মূলত করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসায় বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানান এ পেসার, 'প্রথম করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ আসার পরে আমাদের হাঁটতে দিয়েছে। তো আরও কিছু টেস্ট বাকি আছে। এর পর ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারবো। তো সব মিলিয়ে আলাদা অনুভূতি। চাইবো যত দ্রুত অভিজ্ঞতাটা শেষ হোক, ততোই ভালো।'

আর আবদ্ধ অবস্থায় ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ও সিনেমা দেখেই সময় কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে বিসিবি থেকে কিছু শরীরচর্চা করার সুযোগও করে দিয়েছেন বলে জানান তাসকিন, 'সময় কাটছে আসলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে (ফোনে), সিনেমা দেখে। বিসিবি থেকে আমাদের কিছু শরীরচর্চারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিছু ব্যান্ডস আর সাইক্লিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। কিছু কাজ দেওয়া হয়েছে যে রুমে যেসব শরীরচর্চা করা সম্ভব, সেগুলো করার জন্য। তো সবমিলিয়ে এভাবেই সময়টা কেটে যাচ্ছে।'

উল্লেখ্য, ডানেডিনে সফরের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আগামী ২০ মার্চ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডে ক্রাইস্টচার্চে। ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডে হবে ২৬ মার্চ। এরপর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ারে। অকল্যান্ডে শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

1h ago