আহতদের মুখে পুলিশের লাঠিচার্জের বর্ণনা

Hamla.jpg
পুলিশের লাঠিচার্জে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: স্টার

কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তারা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের সে মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্য অনেকের সঙ্গে আহত হয়েছেন তারা। বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সেখান থেকে আহতদের কয়েকজন কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফি নিতু বলেন, ‘মিছিল যাচ্ছিল শাহবাগ মোড়ের দিকে। মিছিল নিয়ে আগানোর সময় পুলিশ একসময় থামায়। আমাদের একজনকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে আমি এগিয়ে যাই। পুলিশ এরপর ক্রমাগত ধাওয়া দেয়। ধাওয়ার সময় আমি পড়ে যাই। পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে। পড়ে যাওয়ার পর আমার ওপরও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। যারা সেখানে ছিল, তাদের সবার ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। অনেকের মাথা ফেটে গেছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে ঘুরে আবার টিএসসিতে চলে আসব। আমরা যখন শাহবাগ যাই, আমাদের ওপর পুলিশ অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আমাদের হাতের মশালের ওপর চার্জ করে। এতে অনেকের গায়ে আগুন ছিটকে পড়ে। পেছনে জ্যাম ছিল। সেখানে যারা ছিল তাদের সবাইকে তারা মেরেছে। থানার মোড়ের কাছে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘আমরা যখন মিছিল নিয়ে জাদুঘর ও পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পৌঁছাই, পুলিশ সেখানে আমাদের বাঁধা দেয় এবং বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। নারী কর্মীদের ওপরও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। মিছিল-মিটিং করা আমাদের অধিকার। যেখানে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছি, সেখানে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে লাঠিচার্জ করা হয়েছে, আমাদের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় ধিক্কার জানাই।’

আরও পড়ুন:

শাহবাগে মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত অন্তত ১৫

Comments

The Daily Star  | English

Public servants won’t be forced to retire

The Advisory Council has decided to abolish a provision of the Public Service Act, 2018, which allows the government to send public servants into forced retirement after 25 years of service.

8h ago