সিলেটে অভিজিৎ রায় স্মরণে আলোক প্রজ্বালন, লেখক মুশতাক হত্যার প্রতিবাদ
প্রজ্বালিত আলোকে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে স্মরণ করেছে সিলেটের গণজাগরণ মঞ্চ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে আলোক প্রজ্বালন করা হয়।
২০১৫ সালের এই দিনে ঢাকায় অমর একুশে বইমেলা চলাকালে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে উগ্রবাদীদের চাপাতির কোপে নিহত হন অভিজিৎ রায়। আজ এই হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর।
এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে মৃত্যুবরণ করা লেখক মুশতাক আহমদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ করা হয়।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিতে অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল তার বিজ্ঞানভিত্তিক লেখালেখির কারণে। কিন্তু, মুশতাক আহমদের খুনি কে?
বক্তারা বলেন, কেবল অভিজিৎ রায় নয়, দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে নিহত হয়েছেন কয়েকজন লেখক। কিন্তু, এরপরও দেশে উগ্রবাদের চর্চা কমছে না বরং বাড়ছে। একইসঙ্গে এখন সরকারও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। মত প্রকাশের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। লেখক মুশতাক আহমেদ কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন, যা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বরং হত্যাকাণ্ড।
গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক রাজীব রাসেল, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, লেখক শামসুল আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাবেক সভাপতি সপ্তর্ষি দাস, ছাত্রফ্রন্ট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাস ও ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ ।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়। ওই হামলায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান লেখক মুশতাক আহমেদ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় তিনি কারাবন্দী ছিলেন।
Comments