আমি দৈবক্রমে ক্রিকেটার: অশ্বিন

Ravichandran Ashwin

ক্রিকেটার না হলে রবীচন্দ্রন অশ্বিন কি হতেন? মেধাবী ছাত্র হিসেবে তথ্য প্রযুক্তিতেই হয়ত ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন। ক্রিকেটপ্রেমের সঙ্গে সেদিকেই ছুটছিল তার পথচলা। একটা সময় ক্রিকেটার হবেন, ভারতীয় দলে খেলবেন এমনটা নাকি স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৪০০ উইকেট নিয়ে এই মাস্টার অফ স্পিনার বললেন, ক্রিকেটার হতে পেরেছেন নেহায়েত দৈবক্রমে।

ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় নামগুলোর একটি এখন অশ্বিন। টেস্টে ব্যাটে-বলে সাফল্য দিয়ে নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রমশ। অস্ট্রেলিয়া সফরে দারুণ বোলিং, কার্যকর ব্যাটিংয়ে রেখেছেন অবদান। দেশে ফিরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও নায়ক তিনি। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির সঙ্গে নেন ৮ উইকেট। আহমেদাবাদে তৃতীয় টেস্টেও ৮ শিকার। এতে স্পর্শ করে ফেলেছেন টেস্টে ৪০০ উইকেট।

কিন্তু বিসিসিআই টিভিতে এসে বললেন সাধারণ একজন ক্রিকেটার হওয়াই নাকি ছিল তার কাছে অকল্পনীয়,  ‘দৈবক্রমে আমি ক্রিকেটার হয়ে গেছি। আমি আসলে ক্রিকেট প্রেমি ছিলাম যে ক্রিকেটার হতে চাইত। কিন্তু কখনই ভাবিনি একদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পারব।’

অনেক ক্রিকেটারদের জীবনাচরণে অশ্বিন একটু আলাদা। খেলার বাইরে বাকিরা যখন ক্রিকেট ছাড়া অন্য কিছুতে মেতে থাকেন। অশ্বিনের ধ্যান-জ্ঞান সারাক্ষণই ক্রিকেট। কিছু না পেলে অনলাইনে কারো সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে লম্বা আড্ডা দিতে দেখা যায় তাকে।

করোনার সময়ে লকডাউনে খেলা না থাকায় হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। এই সময়টাতেই নাকি আরও ভাল করে টের পেয়েছেন কতটা ভাগ্যবান তিনি  ‘প্রতিবারই যখন দলের হয়ে খেলি ও জিতি মনে হয় আমি আর্শিবাদপুষ্ট হই। করোনার সময়ে টের পেয়েছি আমি কতটা সৌভাগ্যবান যে ভারতের হয়ে খেলি।’

‘যখন আইপিএল শেষ করলাম, তখনও ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে পারব। সব কিছুই উপহার।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আহমেদাবাদে গোলাপি বলের টেস্ট অশ্বিন স্পর্শ করেন ৪০০ উইকেটের মাইলফলক। যা করতে তার লেগেছে কেবল ৭৭ টেস্ট। তারচেয়ে কম টেস্ট খেলে ৪০০ উইকেট পেয়েছিলেন কেবল মুত্তিয়া মুরালিধরন (৭২ টেস্ট)। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিতে তার সুযোগ আছে অনিল কুম্বলেকেও (৬১৯ উইকেট) ছাড়িয়ে যাওয়ার। অত দূর না ভাবলেও গত মাস তিনেকের ক্রিকেটে টানা সাফল্য অশ্বিনকে দিচ্ছে অন্যরকম সুখানুভূতি, ‘সত্যি কথা বলতে আমি ফাঁকা অনুভব করছিলাম (৪০০ উইকেটের আগে)। কারণ তখন আমরা খুব চাপে। যখন ওই বলটাতে ব্যাটসম্যান পরাস্ত হলো। এবং  সে (জোফরা আর্চার) একটু ইতস্তত ভেবে রিভিউ নিল আমি টের পেলাম ৪০০ হয়ে যাচ্ছে।’

‘জায়ান্ট স্ক্রিনে যখন ৪০০ দেখাল। পুরো স্টেডিয়াম তালি দিচ্ছিল। আমি জানি না তখনকার অনুভূতি। গত তিন মাস আসলে রূপকথার মতন।’

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

Every beat of my patriotic heart, every spark of my nation building energy, every iota of my common sense, every conclusion of my rational thinking compels me to most ardently, passionately and humbly appeal to Prof Yunus not to resign from the position of holding the helm of the nation at this crucial time.

3h ago